মুক্তকথা সংগ্রহ।। একজন এলিসা গ্রানাতো(Elisa Granato) বয়স-৩২। তিনি “ব্যাকটেরিয়েল ইন্টারএ্যাকশন”এর উপর গবেষণাকারী একজন ছাত্রী এখনও। গবেষণার মত কঠিন কাজ নিয়ে পড়াশুনা করছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক কেভিন ফস্টারের সাথে। করোনা ভাইরাসের ‘ভেকসিন’ বা ঔষধ আবিষ্কারের লক্ষ্যে পরীক্ষামূলকভাবে তার শরীরে প্রথম সে ঔষধটি প্রয়োগ করা হয়েছে। ফলাফল ইতিবাচক হলে “করোনা ভাইরাস”এর মত মানব সভ্যতা বিধ্বংসকারী একটি রোগ প্রতিরোধের উপায় বের হবে। বিশ্ব মানবসভ্যতা আপাততঃ হলেও রক্ষা পাবে মরণব্যাধি করোনার হাত থেকে।
এলিসা গ্রানাতো পরীক্ষামূলক ভেকসিন নিচ্ছেন। ছবি: মেট্রো |
সেই তাদেরই একজনকে নিয়ে একজন আছিয়া রিয়া তার ফেইচবুকে লিখেছেন-
“নাম জানার কথা নয়। অক্সফোর্ডের নতুন ভ্যাকসিনটা প্রথম তার শরীরে দেয়া হয়। শরীরে এন্টিবডি তৈরি হলে তাকে দেয়া হবে করোনাভাইরাস। ভ্যাকসিন কাজ না করলে তার মৃত্যুও হতে পারে। কোনদিন দেখা বা চেনা হবেনা এমন লাখো কোটি মানুষের জন্য সে নিয়েছে এই ঝুঁকি। এই মহামারীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা অনেক বীরের নাম আমরা কোন দিনই জানবোনা।
নাম না জানলেও যেন না ভুলি, মানুষ মানুষের জন্য এই চেতনায় অনেকে কাজ করে বলে আমরা এখনো দিন বদলের স্বপ্ন দেখি।
ভেকসিন নিচ্ছেন গবেষক ‘ও’ নেইল |
আরেকজন হলেন অক্সফোর্ডের ক্যান্সার গবেষক এডওয়ার্ড ‘ও’নেইল। তারা দু’জনই স্বেচ্ছায় তাদের উপর করোনা ভেকসিন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগকরার মত দেন এবং গতকাল বৃহস্পতিবার সর্বপ্রথম তাদের দু’জনের উপর পরীক্ষামূলক এ টিকা ব্যবহার করা হয়। এ নমুনায় ১হাজার মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে এ টিকা ব্যবহার করে তার ফলাফল জানা হবে। ইতিবাচক হলে ধ্বংস থেকে মানবসভ্যতা রেহাই পাবে। সূত্র: লণ্ডন মেট্রো ও শাহাবুদ্দীন চৌধুরীর ফেইচবুক