নিজস্ব সংবাদদাতা, মৌলভীবাজার।। অবশেষে ঘটনার ৭৩দিন পর গেল রোববার ১৬ অগষ্ট, রাজনগরের বিধবা নারী ধর্ষণের ঘটনার আসামী দু’জন গ্রেপ্তার হলো।
মানুষে বলে কপাল মন্দ। আসলে হওয়া উচিৎ ‘কাজ মন্দ’। মন্দ নিন্দনীয় কাজ করলে তার খেসারত দিতেই হবে। বলা যায় এটি প্রকৃতির বিচার। না’হলে তারা এখন হাজতবাস করবেন কেনো। বুক ফুলিয়ে না গেলেও মনে হয়, আশা-ভরসা পেয়েই গিয়েছিলেন আদালতে আত্ম সমর্পন করতে। কিন্তু ওই যে কথায় বলে কর্ম ঠিক না থাকলে অভিশাপ নেমে আসবে। তাইতো দেখা গেল গত রোববার ১৬ অগষ্ট মৌলভীবাজারের আদলত পাড়া থেকে তাদের দু’জনকে ধরে নিয়ে হাজতে পুরলো পুলিশ। হয়তো বা পুলিশদেরই মত কে্উ ভরসা দিয়ে পাঠিয়েছিল আদালতে। তা্ইতো মানুষ বলে- হায়রে কপাল মন্দ! না হলে কি আর এমন ঘটে! ধর্ষণ মামলার খাতায় তাদের নাম বিজয় বিশ্বাস ও সালমান শাহ। ঐ সময় তারা মৌলভীবাজার আদালত পাড়ায় ঘুরাঘুরি করছিলেন।
বেদনা আর আনন্দের মিশেলে এমন ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার মৌলভীবাজারে। রাজনগরের বহুশ্রুত সনাতনধর্মী এক বিধবা নারী গণ ধর্ষণের মামলার আসামী বিজয় বিশ্বাস ও সালমান শাহকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের ঘটনাটি কাকতালীয় কিংবা নাটকীয় ঘটনার মত মনে হলেও ওই এলাকার মানুষ বেজায় খুশি হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজনগর থানার এসআই বিনয় ভূষন চক্রবর্তী এ প্রতিবেদককে জানান, গেল রোববার মৌলভীবাজার আদালত এলাকায় ওই দুই আসামীর দেখা পাওয়া গেলে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাদের গ্রেফতার করি। পরবর্তীতে তাদের আদালতে প্রেরণ করি।
উল্লেখ যোগ্য যে, চলতি বছরের(৪ঠা জুন) রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নের পূর্ব সুরীখাল(আমনপুর) গ্রামে নিজ গৃহ থেকে ওই নারী প্রাকৃতিক কাজে বাহিরে বের হলে আগে থেকে উৎ পেতে থাকা ওই দুই বখাটেসহ আরেক যুবক সামিলে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। ধস্তাধস্তি শেষে তিনি তাদের চিনতে পেরে নাম ধরে ধরে চিৎকার করেন। এসময় তারা তাকে প্রাণে মারার চেষ্টা চালায়। তাৎক্ষনিক অবস্থায় পাশের কুশিয়ারা নদীতে থাকা জেলেরা চেঁচামেচির আওয়াজ শুনে এগিয়ে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরদিন ওই নারী বাদী হয়ে রাজনগর থানায় ওই দুই যুবকের নাম উল্যেখ করে ধর্ষনের মামলা দায়ের করেন। আসামীরা পুলিশের নজরধারী এড়িয়ে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় দীর্ঘ আড়াই মাস মোতাবেক ৭৩দিন আত্মগোপনে বসবাস করে। পুলিশ থেকে জানা যায়, গোপন সূত্রে তাদের অবস্থান জানতে পারলেও সময়ে সময়ে তারা স্থান পরিবর্তনের কারণে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি পুলিশের পক্ষে। পরবর্তীতে গতকাল রোববার(১৬ আগষ্ট) শহরের আদালত পাড়ায় মেঘ না চাইতেই বৃষ্টির মত তাদের দেখা পেয়ে শ্রীঘরের ব্যবস্থা করে পুলিশ।