মুক্তকথা সংবাদকক্ষ॥ এবিসি, বিবিসি সহ এ পর্যন্ত পাওয়া সংবাদমাধ্যম তথ্যে জানা গেছে যে, সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার উদ্বেগের কারণে ইউরোপের ১০টি দেশে অক্সফোর্ড অস্ট্রাজেনেকার করোণা ভাইরাস টিকার ব্যবহার স্থগিত করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ৪০জন মানুষের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনার পর জার্মানী, ফ্রান্স, স্পেন, ইটালি, নেদারল্যাণ্ড, ডেনমার্ক, নরওয়ে, বুলগেরিয়া, রিপাব্লিক আয়ারল্যাণ্ড এবং আইসল্যাণ্ডে অস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রয়োগ বন্ধ করা হয়। গত ১৬ মার্চ তারিখে এবিসি নিউজ এ সংবাদ প্রকাশ করে।
অন্যদিকে রিপাব্লিক অব কঙ্গো ও ইন্দোনেশিয়ায় অক্সফোর্ডের এ টিকা চালু করতে দেরি করছে।
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউরোপীয়ান মেডিসিন এজেন্সি বলেছে অক্সফোর্ডের এ টিকার কারণেই রক্ত জমাট বাঁধা ঘটনার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নি। এছাড়াও বলা হয়েছে এ টিকার ব্যবহার অব্যাহত রাখা উচিৎ।
এক হিসেব থেকে জানা গেছে, ৩৭ জনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে রক্ত জমাট বাঁধার মত সমস্যা। ১৫ জনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ডি ভেনাস থ্রম্বোসিস বা শিরার ভেতরে রক্ত জমার বাঁধা আর ২২জনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে পালমরি এম্বোলিজম অর্থাৎ ফুসফুসে যে রক্ত জমাট বাঁধে। ডাক্তারদের মতে আগেও এ ধরণের রোগ ছিল। এ ধরণের রোগ নতুন কিছু নয়। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এ রোগগুলোর ঝুঁকি বাড়ে। ইংল্যাণ্ড স্বাস্থ্যসেবার একজন ডাক্তার তাসনিম জারা’র মতে- সাধারণতঃ বছরে হাজারে একজনের এমন রোগ দেখা যায়। এ হিসেবে সপ্তাহে প্রায় তিনশত জনের মাঝে এমন রোগ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ হিসেব থেকে স্পষ্টই বুঝা যায় যে তার থেকে অনেক অনেক কম সংখ্যক মানুষের এ রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা দেখা গেছে। এদিকে অস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে যে এ পর্যন্ত ইইউ ও যুক্তরাজ্যে প্রায় ১৭ মিলিয়ন মানুষের মাঝে এ টিকা ব্যবহার করা হয়ে গেছে।
বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য যে চলমান সময়ে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মোট ৯টি কোম্পানীর টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে। বিবিসি’র প্রকাশ করা তথ্যে জানা যায় বিশ্বের মোট ৭২টি দেশে ফাইজার বায়নটেক এর টিকা প্রয়োগ যখন চলছে তখন অক্সফোর্ড অস্ট্রাজেনেকার টিকা চলছে ৭১টি দেশে। মডার্ণা চলছে ৩২টি দেশে আর সিনোপারম, স্পুটনিক ভি, সিনোভেক চলছে যথাক্রমে ১৯, ১৮ ও ১১টি দেশে। জানসেন টিকা চলছে ২টি দেশে, এপিভেক করোণা টিকা চলছে ১টি দেশে আর ভারত বায়োটেক-এর কোভাক্সিন ভারতেই প্রয়োগ হচ্ছে।
|