সুদীর্ঘ একটা সময় ধরে আমরা শুনে আসছিলাম যে চীন দেশের উহান গবেষণাগার থেকে মহামারী করোণার সৃষ্টি। আর এই জীবাণুটি প্রাকৃতিক নয় বরং চীনাদের সৃষ্টি। আর যেই সেই মানুষ থেকে এ দাবীটি উঠেনি; এমন দাবীটি করেছেন জাপানী নোবেল বিজয়ী ড. তাসুকো হনজো। এ ছাড়াও, জাতিসংঘের মত বিশ্বের এক ও অভিন্ন একটি সংগঠনের আওতাধীন ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ চীনের সেই উহানে বিশেষজ্ঞ পাঠিয়ে এই সেদিনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছেন! অবশ্য WHO ওই মিথ্যা দাবীর ভিত্তিতে নয় বরং ভিন্ন ভাবনা থেকে উহানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। কিন্তু চীনের উহান শহরের গবেষণাগার থেকে করোণার উৎপত্তি এবং নোবেল বিজয়ী জাপানী ড. তাসুকো হনজো এমন দাবী করেছেন বলে এতোদিন যে প্রকাশ প্রচারণা দেশে দেশে চলে আসছিল তা সম্পূর্ণ ভূঁয়া, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে সংবাদ সংস্থা রয়টার জানিয়েছে। রয়টার তাদের ‘ফেক্ট চেক’ দলের উল্লেখ করে বিস্তারিতভাবে লিখেছে। রয়টার লিখেছে যে, তারা জাপানী সেই নোবেল বিজয়ীর সাথে আলাপ করেছে এবং তিনি তার কথিত দাবীর বিষয়টিকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানিয়েছেন। রয়টার জোর দিয়ে লিখেছে যে ড. তাসুকো হনজো এ ধরনের কোন বিবৃতি কোথায়ও দিয়েছেন এমন কোন প্রমাণ তারা পায়নি। শুধু একটি প্রকাশনা তারা পেয়েছেন সেটি ২০২০সালের ১০ এপ্রিলের একটি প্রকাশনা। জাপানী সংবাদ পত্র ‘নিক্কেই এশিয়ান রিভিউ’ ড. তাসুকো হনজো-এর এক সাক্ষাৎকার গ্রহন করে। সেখানে তিনি শুধু বলেছেন যে কোভিড-১৯ শুরু হয়েছে চীন থেকে। চীন দেশ এ জীবাণূ তৈরী করেছে এমন কথা তিনি বলেননি। ড. তাসুকো হনজো’র সেই বিবৃতিটি ২০২০সালের ২৭ এপ্রিল জাপানের কয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রকাশ করেছিল। কিন্তু মিথ্যা প্রচারকারীরা ড. তাসুকো হনজো’র বরাত দিয়ে অনেক অনেক মিথ্যা তথ্য যোগ করে রটনা করেছিল যে ড. তাসুকো চীন দেশের উহানের ওই গবেষণাগারেও কাজ করতেন। অথচ ড. হনজো কেবল জাপান ও মার্কিন দেশেই কাজ করেছেন আর কোথাও নয়। ১৯৮৪ সাল থেকে তিনি জাপানের কয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়েই সহকারী পরিচালক সাধারণ(ডেপুটি ডাইরেক্টর জেনারেল) হিসেবে আজও কাজ করে যাচ্ছেন। |