ঝাড়ফুঁক কল্পকাহিনী নয় খোদ বিজ্ঞানীদের গবেষণার পর পাওয়া তথ্য। যতদিন ইচ্ছা বাঁচতে পারবেন। আর এমন সুযোগ যদি বিজ্ঞান করে দিতে পারে তা’হলে বেশীদিন বেঁচে থাকতে কে না চাইবে। কার না ইচ্ছা বেশীদিন বেঁচে থাকতে? সবাই চায়। শিশু-কিশোর আর পাগল ছাড়া সকলেই দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে চায়। শুধু কি চায়, সুস্বাস্থ্য নিয়ে দীর্ঘকাল বেঁচে থাকার জন্য কত কিছুই না মানত করে মানুষ। কতই না দোয়া-দুরুদ, পুঁজো-পার্বণ সে অনাদিকাল থেকেই চলে আসছে বলতে পারি। আর সে কি শুধু হিন্দু মুসলমানের মধ্যে? কোন দেশের কোন জাতির মানুষ বেশীদিন বাঁচতে চায় না এমন দেশ কিংবা মানুষ খুঁজেই পাওয়া যাবে না। এমন শুধু কথার কথা নয়, আসলেই সত্য। এ বিশ্বের মানুষ নামের এই প্রাণীকূল আরো বেশী করে একটু-আধটু রোগে ভুগেও বাঁচতে চায়। স্বয়ং ঠাকুর কবিইতো বলেছেন-“মরিত চাই না আমি সুন্দর ভুবনে…”। অবশ্য তিনি বা তার মত বহু মুণিঋষি ভিন্ন নমুনায় বেঁচেই আছেন। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
প্রাচীন কালে এ পৃথিবীতে তেমন কিছু গড়ে উঠেনি যা দেখে মানুষ অবাক বিস্ময়ে তাজ্জ্বব বনে যাবে। ফেলে আসা অতীতের সে সময় দীর্ঘকাল বেঁচে থাকার তেমন কোন সাদ মানুষের মনে আসতো না। বরং যুদ্ধ করে মৃত্যু দিয়ে জীবনকে অমর করে রাখতে চাইতো। সেই অমরত্বের চিন্তাই করতো। আর এখনতো দুনিয়া কেমন সুন্দর সাজে মানুষ সাজিয়েছে যে এ দুনিয়া ছেড়ে ফিরে যেতে মন চায় না একেবারেই। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
এই অবস্থায় যদি মানুষকে বলা হয় দীর্ঘায়ূর ব্যবস্থা আছে সকলেই হুমড়ি খেয়ে পড়বে না? এতোদিন এসব চিন্তায়ই সীমাবদ্ধ ছিল। প্রার্থনা করেই মানুষ তৃপ্তির ঢেকুর তুলতো। মানুষের হাজার হাজার বছরের কল্পনা এখন বাস্তব হতে চলেছে। আর তা বলেছেন বিজ্ঞানীরাই। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বিজ্ঞানীদের মতে অদূর ভবিষ্যতেই মানুষ বা এই মানব প্রজাতি একধরনের হাইব্রিড প্রজাতিতে পরিণত হবে। হার্ভার্ডের জিনতত্ত্বের বিশেষজ্ঞ ডেভিড সিনক্লেয়ার দাবি করছেন জিনের পুনর্স্থাপনের মাধ্যমে মানুষ হতে পারে অমর। আর এই ২০২৩ সাল থেকেই শুরু হতে যাচ্ছে মানুষের জিন পুনর্স্থাপনের সেই পরীক্ষামূলক কাজ। এর ফলে মানুষ স্বাভাবিক আয়ূর চেয়ে বাঁচতে পারবে অনেক অনেকদিন বেশী। এমন আশাজাগানো খবর এ বছরের ২৫ মে লিখেছিল দি সায়েন্টিফিক এমেরিকান ২৫ মে ২০২১। এরও আগে ২৬ নভেম্বর ২০২০সালে লিখেছিল ‘স্টেমসেল ইম্মর্টালিটি’ ইউনিভার্সিটি অব সিডনি। সর্বশেষ তথ্য দিয়ে সমৃদ্ধ করে আজ আবার লিখেছে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন পত্রিকা আনন্দবাজার। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ইতিমধ্যেই প্রাথমিক পরীক্ষার কাজ ইঁদুর দিয়ে শুরু করে শেষ হয়েছে। এ গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন মাথা ও শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে বয়সের বেড়ে যাওয়া কমিয়ে দেয়া সম্ভব! বিজ্ঞানীরা বলেছেন এক ধরনের এমব্রায়নিক জিন রয়েছে যা তারা পরিণত বয়সের প্রানীর উপর প্রয়োগ করছেন শরীরের টিস্যুর বয়স নতুন করে স্থাপন করার জন্য। এ পরীক্ষা ঠিকমত কাজ করতে ৪-৮সপ্তাহ সময় লাগছে। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একটি অন্ধ ইঁদুর বয়সের জন্য তার দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে। কারণ মস্তিস্ক অবদি তার নিউরোনের সংযোগ পৌঁছচ্ছে না। সেই নিউরোন পুনর্স্হাপন করলে ইঁদুরটি আবার দেখতে পাবে। এতোসবের পরও যা বিজ্ঞানীদের জানা ছিল না যে ইঁদুরের বয়স কি ফিরে আনা যাবে? এখন উত্তর পাওয়া গেছে আর তা’হলো হ্যাঁ তা সম্ভব। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বিজ্ঞানীদের মতে মানুষের আয়ূ বা বয়সের কোন নির্ধারিত সীমারেখা নেই। জিনতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের দাবি আজ যে শিশু জন্ম নিচ্ছে সে অচিরেই ১০০ বছর বাঁচার প্রত্যাশা করতে পারে। মানুষের ‘বায়োলজিকেল অর্গানিজম’ যে থেমে যাবে এমন কোনও কথা কিন্তু নেই। |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সাম্প্রতিক অন্য একটি গবেষণা মানুষের অমরত্বলাভের সম্ভাবনাকে সমর্থন করেনি সত্য তবে এ বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে যে মানুষ ১২০-১৫০ বছর বয়স পর্যন্ত বাঁচতেই পারে। সেটাই বা মানুষের জন্য কম কিসের। সংগ্রহ ও অনুবাদ- হারুনূর রশীদ |