মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদে আনা এক্সাভেটরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে এক্সাভেটরে ইঞ্জিন ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার ১৬ সেপ্টেম্বর সকালে শহরের ভানুগাছ সড়কে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
অগ্নিসংযোগ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সোলেমান মিয়া নামে একজনকে আটক করেছে শ্রীমঙ্গল পুলিশ। রেলের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক লোকমান হোসেনের ছেলে আটক সোলেমান।
উচ্ছেদ অভিযান শুরুর আগেই দখলদারদের বাধার মুখে পড়েন উচ্ছেদকারী কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসন। দখলকারীরা ১ দশমিক ৪৭ একর জমিকে আদালতের স্থিতিবস্থার কাগজ দেখালেও জমি চিহ্নিত করে দেখাতে পারেননি। আপাতত উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখা হয় এবং আগামী মঙ্গলবার দখলকারীদের বৈধ কাগজপত্র নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়।
এক্সাভেটর চালক জানায়, সকাল ৯টার দিকে তারা এক্সাভেটরটি নিয়ে এখানে আসেন। উচ্ছেদ অভিযান তখনও শুরু হয়নি। হঠাৎ করে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে ইঞ্জিন, পাইপ ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি পুড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এক্সাভেটরটি আর চালানো সম্ভব হচ্ছে না।
শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়েই তারা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিভিয়েছেন। ধারণা করছেন, পেট্রল দিয়ে আগুন লাগানো হয়েছে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল জোনের সহকারী এস্টেট অফিসার মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা রেলের ২ দশমিক ৮৭ শতক জায়গায় গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে এসেছিলাম। কিন্তু অভিযান শুরুর আগেই এক্সাভেটরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৩৮ বছর রেলের এই বিশাল জায়গাটি অবৈধভাবে দখলে করে রাখা হয়েছে। দখলকৃত জমিকে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এর আগে আরো দুই দফা ওই জমিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। কিন্তু উচ্ছেদের পরেই আবার ওই জমিতে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়।
|