মৌলভীবাজারের হাওর গুলোতে বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। জেলার হাকালুকি, কাওয়াদীঘি, হাইল হাওরসহ ছোট-বড় হাওর এবং এর উপরিভাগে চলছে বোরো চাষাবাদের উৎসব। হাওরের পানি আগাম কমে যাওয়া,বাজারে ধানের দাম বাড়ায় এবছর জেলায় বোরো চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৬ হাজার ৮০০ হেক্টর। এর মধ্যে হাওরে ২৭ হাজার ৮০০ হেক্টর। উপরি অংশে ২৯ হাজার হেক্টর।
কাওয়াদীঘি ঘুরে দেখা যায়, শীত উপেক্ষা করে জমি প্রস্তুত ও রোপণের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। কেউ সেচের জন্য নালা তৈরি, আবার অনেকে তৈরি জমিতে পানি সেচ দিয়ে ভিজিয়ে রাখছেন। আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে কেউবা বীজতলা থেকে চারা তুলে তা জমিতে রোপণ করছেন।খুঁজনিয়ে আরো জানাযায়,কাউয়াদিঘি হাওরে বিগত কয়েক বছর ধরে পতিত থাকা জমিতে এবছর বোর রোপণ করেছেন কৃষকরা।
কাওয়াদীঘি হাওরপারের সালিক মিয়া বলেন, ‘ধানের দাম আগের চেয়ে বেশি হওয়ায় আমরা কৃষকেরা আগ্রহ নিয়ে বোর চাষ করছি।
কৃষক সামছুল মিয়া বলেন, এবছর হাওরের পানি আগাম কমে যাওয়ায় হাওরের পতিত থাকা নিচু এলাকা জোড় ককান্দি, পিয়ালারপার, বলছিড়া, মাজের বান্দ সহ বেশ কয়েকটা এলাকায় কয়েক হাজার বিগা জমিতে বোরো রোপন হয়েছে। আমি নিজেও জোরকান্দিতে ৫ বিঘা জমিতে বোরো রোপণ করেছি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী বলেন, ‘আশা করি এ বছর বোরো ফসলের ভালো ফলন হবে। ধানের দাম বাড়ায় কৃষকেরা ধান চাষে আগের চেয়ে অনেক বেশি আগ্রহী হয়েছেন। আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি, মাঠ ঘুরে তাঁদের সমস্যা শুনে পরামর্শও দিচ্ছি। এবছর জেলায় ৩৫ হাজার কৃষকদের আরমা সার ও বীজ দিয়েছি।