মুক্তকথা: মঙ্গলবার, ১৬ই আগষ্ট ২০১৬।। [কেনাডায় বসবাসরত বাংলাদেশের খ্যাতিমান সঙ্গীত শিল্পী রণি প্রেন্টিস রয় একটি কবিতা লিখে আমার ফেইচবুকে পত্রস্ত করার অনুরোধ করেছে। রণি কবি নন্ তবে জাত শিল্পী। কবি আর শিল্পী সমগোত্রীয় বলেই আমার ধারণা। একজন শিল্পীর মনে কাব্যভাব থাকতেই পারে। শিল্পীর কাব্যচর্চ্চা শিল্পীগুণকে ভিন্ন মাত্রা দেয়। রণি প্রেন্টিস, সেই বাল্য থেকেই সঙ্গীতের প্রতি তার অপার আগ্রহ। জীবনের মূল্যবান সময় ব্যয় করেছেন সঙ্গীত সাধনায়। সময় দিয়েছেন অফুরান! সঙ্গীতের জগতে নাম কুড়িয়েছেন অগণিত। সুদূর কেনাডায় বাংগালী সংস্কৃতি চর্চ্চায় নিরন্তর এক কর্মযোগী। ঢাকায়তো আছেই, কলকাতায়ও তার একটি অবস্থান রয়েছে। জন্ম মাটির টানে বাংলাদেশে(মৌলভীবাজারে) সম্পূর্ণ নিজ খরচে প্রতিষ্ঠা করেছেন “রাগ রঙ্গ” নামের সঙ্গীত বিদ্যালয়। তার কবিতায় কিছু ক্ষোভ কিছু খেদ রয়েছে। জানিনা কেনো, একমাত্র তিনিই বলতে পারেন। তবে ওই খেদ আর ক্ষোভ কবিতার মানকে আসন দিয়েছে। ]
ছোট ছোট দুঃখ-ব্যাথায়
খ্যেক্ শেয়ালের গল্প-গাঁথা
হুক্কা হুয়া হুক্কা হুয়া হাঁক।
দ্রাক্ষ্যা-তরুর গায়,
মিঠে আঙুর হাতছানি দেয়
জ্বিব্হায় জল টঁই-টম্বুর।
কিন্তু, এ যে এত উঁচু, এত দূউউউর!
লম্ফ ঝম্প দাপাদাপি,
কিছু তো রাখিনি বাকি
তবু কেন ছুঁতে নাহি পাই?
এতো চেষ্টা, এতো শ্রম! বৃথা যত পরিশ্রম
তবু তার স্বাদ নাহি পাই
আফসোস্! তায়, মনকে বোঝায়-
“আঙুর ফল খেতে ভারি টক্”!
পড়েছে আকাল, পুড়েছে কপাল
দেরিতে হলেও বুঝেছে শেয়াল।
নাহি যাবো আর ওপথে আবার,
নাকে দিলাম খৎ।
বিছুটি পাতায় গড়াগড়ি যায়
নাকাল ভবিষ্যত!
-রণো