গত ৩০ অক্টোবর রোববার ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে সিলেটের মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ডাঃ সত্য রঞ্জন দাস(৭৫) মৃত্যুবরণ করেন। গরীবের ডাক্তার বলেই ছিল তাঁর সুখ্যাতি। ‘মৌলভীবাজার প্লাস’ ফেইচবুক লিখেছে- “ডাক্তার আছেন, ডাক্তার থাকবেন, জানিনা ডাক্তার সত্যরঞ্জন দাস আর এই সৃষ্টিকোলে আসবেন কি-না। রোগী দেখার পর কত দিল ফি দেখার কোন ইচ্ছে ছিল না। হাসিমুখে রোগী বরণ এবং হাসিমুখে ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বিদায়। একজন মানবিক ডাক্তার, মানবতার কল্যাণে যিনি ছিলেন আজীবন নিবেদিত প্রাণ, আমাদের গৌরব, মানবতার মূর্ত প্রতীক…।”
ডাঃ সত্যরঞ্জন দাস-এর প্রয়াণে আমরা মুক্তকথা পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করছি।-সম্পাদক |
সফল ডাক্তারী জীবনের মানুষ ডাঃ সত্যরঞ্জন দাস। ছবি: সংগৃহীত |
এমনি ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ডাক্তার সত্যরঞ্জন দাস। তার অন্তিম যাত্রায় শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সমাজের সর্বস্তরের মানুষের ঢল নেমেছিল তার বাসভবনে এমনকি শ্মশান ঘাটে। সিলেট থেকে ১০ ঘটিকায় লাশবাহী গাড়ি সৈয়ারপুর নিজ বাসায় এসে পৌছার পর বেলা ১১-৩০ মিনিটে নিয়ে যাওয়া হয় তার দিক্ষা স্থান রাম কৃষ্ণ মিশনে। তারপর শ্রী শ্রী নতুন কালীবাড়িতে, লোকনাথ সেবাশ্রমে, পরিশেষে শেষ ঠিকানা স্মশানঘাটে।
|
শেষ যাত্রায় সত্যরঞ্জন দাস। ছবি: সংগৃহীত |
খুব কাছ থেকে দেখার কিছু স্মৃতি সাংবাদিক রিপন কান্তি ধর রূপক তার ফেইচবুক-এ লিখেছেন- ‘…বাবার সাথে সকালে অনেক গল্পহতো। মামা(ডাঃ সত্যরঞ্জন) গরম গরম লুচি, ডাল, চিড়া ভাজা, মুড়ি চানাচুর, ভালো বাসতেন। মা প্রতিদিন চায়ের সাথে পরিবেশন করতেন। …আমার মাকে নিজের বোনের মতো দেখতেন আমরাও নিজের মামা মনে করতাম।…হেটে হেটে ফার্মেসির উদ্দ্যেশে যাবার পথে রাস্তায় যাকে পেতেন খোজ খবর নিতেন।’ মানুষের কাছে এই ছিলেন গরীবের ডাক্তার বলে সুপরিচিত মানবতার মূর্ত প্রতীক ডাঃ সত্যরঞ্জন দাস। |