এখন এত শ্রমিক মারা যাওয়ার কারণ হলো কাতারের গরম আবহাওয়া। দেশটিতে সারাবছর অনেক গরম থাকে৷ গার্ডিয়ান সংবাদ মাধ্যমের
রিপোর্ট অনুযায়ী অনেক শ্রমিক ‘স্ট্রেস রিলেটেড ইনজুরিতে’ মারা গেছে যেমন হার্ট অ্যাটাক করেছে, স্ট্রোক করেছে৷ এমনকি একটি বড় সংখ্যক আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে কারণ সেখানে কাজ করার পরিবেশ খুবই মারাত্মক ছিল এবং এইটা অনেকেই সহ্য করতে পারে নাই৷ আর কাতার গভার্নমেন্টকে অনেক মানুষ এই কারণে ‘ট্রল’ করতেছে যে এই সবগুলা মৃত্যুকে কাতার গভর্নমেন্ট প্রাকৃতিক কারনে (ন্যাচারাল ডেট) মারা গিয়েছে বলতেছে৷
তাহলে কাতারের গভর্মেন্ট কি শ্রমিকদের কাজের নিরাপত্তা রক্ষণাবেক্ষণ করেনা৷ কাতারের গভার্নমেন্ট নিজেই বলছে যে তারা ত্রিশ হাজারের মতন বিদেশি শ্রমিক ভাড়া করে এনেছিল কাতারের স্টেডিয়ামগুলো বানানোর জন্য যারা মূলতঃ বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, নেপাল আর ফিলিপিন এর ছিল৷ ২০১৬ সালে ‘এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল’ (Amnesty International) কাতারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কাতারের কোম্পানিগুলো লিভারের উপর চাপ দিচ্ছে৷ জোর করে শ্রমিকদেরকে খাটাচ্ছে৷ শ্রমিকদের পারিশ্রমিক সময় মত দেওয়া হতো না তাদের পাসপোর্ট আটকে রাখা হতো কোম্পানিগুলোতে ইত্যাদি৷
মাত্র ২০১৭ সালের পরে কাতার সরকার, শ্রমিকরা যাতে খুব গরম আবহাওয়ায় কাজ না করে তাদের কর্মসময় যা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত যেন থাকে, তাদের যেন অতিরিক্ত পরিমাণ খাটানো না হয় এবং যে জায়গায় থাকবে সে জায়গাগুলোর অবস্থা যাতে ভালো হয় এই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেয়৷ ২০১৭ সালের আগে এমন অবস্থা ছিল না৷
কাতারের কোম্পানিগুলো একটি পদ্বতি অনুসরণ করতো যাকে বলা হয় ‘কাফালা’ (kafala), যেখানে ওরা বিদেশি শ্রমিকদেরকে ‘স্পন্সর’ করতো কাতারে আসার জন্য৷ কিন্তু তারপর সেই কাজ ছেড়ে যেতে তারা বাধা দিত এমনকি তাদের পাসপোর্ট আটকে রাখত৷ ILO (International Labour Organisation) থেকে প্রচন্ড বাধা পাওয়ার পর কাতার কাফালা(kafala) সিস্টেমটা বাদ দেয়৷
এসবকিছু নিয়ে এমন কাজগুলোর জন্য সারা বিশ্বের অনেক বড় বড় সম্প্রদায় অনেক বড় তারকারা কাতার সরকারের বিরুদ্ধে চলে যায়৷ ফলে বিশ্ব দরবারে কাতারের সুশীল ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বিশ্বকাপের আয় কি কাতারের সে ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারবে?
|