দেশের অন্যতম সীমান্তবর্তী জেলা মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের কচুরগুল নালাপুঞ্জি এলাকা থেকে ৮ রোহিঙ্গাসহ আরও ১ বাংলাদেশীকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, গোয়ালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কায়ুমের তৎপরতা ও স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগীতায় বুধবার(১৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের কচুরগুল নালাপুঞ্জি এলাকায় ৮রোহিঙ্গা ও ১ বাংলাদেশীসহ মোট ৯ জনকে সন্দেহজনক ভাবে ঘুরাফেরা করতে দেখেন। তাৎক্ষনিক স্থানীয় এলাকাবাসী ও চেয়ারম্যান মিলে রোহিঙ্গাদের আটক করিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসা হয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যান বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও জুড়ী থানা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের জিম্মায় নিয়ে যায়।
আটককৃতরা হলো, মো.ইসমাঈল(১৬) পিতা আবুল কাসেম, গ্রাম তাইংখালী উপজেলা উখিয়া; সায়েদ(১৮), মো.রফিক- কুতুপাল ক্যাম্প ৫, নূর কামাল(১৮) পিতা মৃত নূর হোসেন- কুতুপাল ক্যাম্প ৭; তহসিন মোহাম্মদ(১৩), পিতা মোক্তার আলী, গ্রাম নাইক্ষংছড়ি উপজেলা বান্দরবন; সিনুয়ারা(৩০) স্বামী মোক্তার আলী, গ্রাম নাইক্ষংছড়ি উপজেলা বান্দরবন; আমিরা(৪) পিতা মোক্তার আলী, নাইক্ষংছড়ি বান্দরবন; তাহেরা বিবি(২০) পিতা হাবিবুল্লাহ বালুখালী- ক্যাম্প ৮ উখিয়া; শহিদা বিবি(১৯) স্বামী রহমতুল্লাহ, আলীখালী ক্যাম্প ডি ২১ টেকনাফ; রায়হান (৪২) ও আব্দুল খালেক গ্রাম নরসিংপুর, নোয়াখালী।
গোয়ালবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম বলেন, বুধবার ভোরে এলাকায় সন্দেহজনক ভাবে ঘুরাফেরার সময়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ৯জনকে আটক করা হয়। তন্মধ্যে ৮ জন রোহিঙ্গা ও একজন বাংলাদেশী সনাক্ত করা হয়েছে।
জুড়ী থানার এসআই আব্দুল মান্নান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে আটককৃতদের মধ্যে ৮জন রোহিঙ্গাসহ ১ বাংলাদেশীকে আটক করা হয়েছে।
জুড়ী থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আটকৃতরা ভারত থেকে পুশ-ইং হলে বিজিবি হস্তান্তর করবে আর বাংলাদেশ থেকে আসলে আমাদের জিম্মায় থেকে পরবর্তী প্রক্রিয়া চলবে।