মৌলভীবাজারে গায়ে লেখা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে অনুশীলন বা সহায়ক (গাইড) বই। কম দামে বিক্রি করলে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি লাইব্রেরীর মালিকদের জরিমানা করছেন। মৌলভীবাজারের অধিকাংশ লাইব্রেরী ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে পুস্তক প্রকাশনী শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি ও লাইব্রেরী ব্যবসায়ীদের দ্ব›েদ্ব ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
এনিয়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও সমাজকর্মীরা বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার চৌমুহনীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
এদিকে জরিমানার স্বীকার ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি’র কেন্দ্রীয় কমিটি সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কার্যকরি কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, মৌলভীবাজারের লাইব্রেরী ব্যবসায়ীরা অনেক সময় কম দামে বই বিক্রির অপরাধে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি’র নেতৃবৃন্দ তাদের উপর আর্থিক জরিমানা করেন। এ পর্যন্ত ৪০জন লাইব্রেরী ব্যবসায়ীর উপর জরিমানা করা হয়েছে।`
সরেজমিনে জেলা শহরের চৌমুহনাস্থ ঢাকা লাইব্রেরী ও আল-হেরা লাইব্রেরীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অষ্টম শ্রেণীর প্রতি সেট লেকচারের মূল্য ১৪৯০, পাঞ্জেরী’র ১৪০০ ও অনুপম ১৪৬০ টাকা ধরে তারা বিক্রি করছে। এই মূল্যের উপর কোনো কমিশন নেই। এসময় লাইব্রেরীর মালিকরা প্রতিবেদককে বলেন, নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম দামে বিক্রি করলে পুস্তক সমিতি কর্তৃক আমাদের উপর আর্থিক জরিমানা করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লাইব্রেরীর মালিক বলেন, ১০ শতাংশ কমিশন দিয়ে বই বিক্রি করলেও আমাদের সন্তুষ্টজনক লভ্যাংশ থাকে। দারিদ্র শিক্ষার্থীরা উপকৃত হতো। কিন্তু পুস্তক সমিতি কর্তৃক বাধা নিষেধের কারণে আমরা এই সেবা শিক্ষার্থীদের কাছে পৌছাতে পারছি না।
বড়লেখা উপজেলার আল ইফাদা লাইব্রেরীর মালিক জসিম উদ্দিন বলেন, আমার উপজেলায় পপি, ফারিহা, কয়েছ ও কলেজ লাইব্রেরীকে জরিমানা করা হয়েছে। বিশেষ করে আমি ১৯৫০ টাকার গাইড বই ৫০ টাকা কমে ১৯০০ টাকায় বিক্রি করায় আমার লাইব্রেরীকে ৩০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মৌলভীবাজারস্থ ঢাকা লাইব্রেরীর মালিক সন্তোষ দাস বলেন, কম দামে বিক্রি করার আমার লাইব্রেরীকে ২বার জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে একবার আমি আপিল করেছি। অন্যবার ৩০০০ টাকা জরিমানা দিয়েছি।
জেলার কুলাউড়া উপজেলার ভাটেরা বাজারের তাসনিম লাইব্রেরীর স্বত্ত¡াধিকারী মোঃ শাহেদ আহমদ বলেন, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি’র মৌলভীবাজার জেলা শাখার সদস্য হওয়ার জন্য আমি ২৮ হাজার পাঁচশত টাকা দিয়েছি। কিন্তু আমাকে কোনো রশিদ দেয়া হয়নি।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি’র মৌলভীবাজার জেলা শাখার সভাপতি জুবের আহমেদ বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশে আমরা জরিমানা করছি। তবে এ পর্যন্ত কতটি লাইব্রেরীকে কত টাকা জরিমানা করা হয়েছে সঠিক তথ্য তিনি দিতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, গায়ে লেখা মূল্যের চেয়ে কম ও বেশি বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বর্ণালী পাল বলেন, বিষয়টি অবগত হলাম। তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, ভোক্তভুগীদের লিখিত অভিযোগের ভিক্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নারীদের প্রতিনিধিত্ব শতকরা ৩৩ ভাগ নিশ্চিত করার দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে নারী উন্নয়ন ফোরাম মৌলভীবাজার জেলা শাখা।
গতকাল(১৭ জুন) শনিবার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব চত্বরের সামনে ঘন্টাব্যাপী এক মানববন্ধনে এ সব দাবি জানান তারা। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজার জেলা নারী উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি মুক্তি চক্রবর্ত্তী।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, নাজমা বেগম,কলি সোলাইমান,শাহনাজ আক্তার,আনোয়ারা বেগম, পারভিন আক্তার চৌধুরী,শঙকরী রানী চন্দ প্রমুখ।
বক্তরা বলেন,এসডিজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ দিন দিন উন্নত রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের লক্ষ্য সরকার কাজ করছে। কিন্তু মুলত নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নারীদের প্রতিনিধিত্ব শতকরা ৩৩ ভাগ নিশ্চিত করা হয়নি,নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে না।
মানববন্ধন শেষে মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে মৌলভীবাজারে নারী উন্নয়ন ফোরামের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সাংবাদিকদের কাছে নারীদের প্রতিনিধিত্ব শতকরা ৩৩ ভাগ নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।
বিসিসি নির্বাচনে হাতপাখা মার্কার মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম’র উপর হামলার প্রতিবাদ,হামলাকারীদের শাস্তির দাবী ও সিইইসির পদত্যাগের দাবীতে মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,মৌলভীবাজার জেলা শাখা।
শুক্রবার বাদ জুমআ শহরের এম সাইফুর রহমান সড়ক থেকে মিছিলটি বের হয়ে চৌমুহনা পয়েন্টে সমাবেশে মিলিত হয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ,মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাওঃ সোলাইমান আহমেদ’র এর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন সংগঠনটির জেলা সভাপতি মাওঃ আব্দুল কুদ্দুস।
এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা সহ সভাপতি মাওঃ ইবাদুর রহমান,সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আতিকুর রহমান,দফতর সম্পাদক মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম,যুব আন্দোলন জেলা শাখার সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা আবু তাহের সানী, ছাত্র আন্দোলন জেলা সভাপতি শিব্বির আহমদ উসমানী, কুলাউড়া উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ফখরুল ইসলাম, শ্রীমঙ্গল উপজেলা সভাপতি মাওলানা সালাহ উদ্দীন সহ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, চরমোনাই’র উপর যে হামলা চালানো হয়েছে এর সুষ্ঠ বিচার দেশের জনগণ দেখতে চায়। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন,
এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠ নির্বাচন আশা করা যে অসম্ভব সেটা বরিশাল সিটি নির্বাচনে প্রমাণিত হলো। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে না হয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে হতে হবে।
‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন’ বাস্তবায়নে জেলা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার(১৭ জুন) বিকেলে মৌলভীবাজার সিভিল সার্জন কার্য্যালয়ের ইপিআই ভবনের হল রুমে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
১৮ জুন শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ঐদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কর্মসূচি সফল করার জন্য জেলায় ১ হাজার ৬শত ৮৭টি স্থায়ী ও অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হবে। এ সময় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ২৬ হাজার ২শত আশি জন শিশুদের নীল রঙের ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২লাখ ১৫হাজার ৭শত ২৮ শিশুদের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
সিভিল সার্জন কার্য্যালয়ের মিলনায়তনে সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় সিভিল সার্জন ডাঃ চৌধুরী জালাল উদ্দিন মূর্শেদ এ সব তথ্য তুলে ধরেন। সিনিয়র স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা: মুরাদ এ আলম সহ সিভিল সার্জন অফিসের অন্যান্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন বলেন, ভিটামিন এ দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। সেই সঙ্গে শিশুর স্বাভাবিক দৃষ্টি শক্তি বজায় রাখে। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ালে বাচ্চাদের কোন ক্ষতি হয় না। জেলায় সকল শিশু যেন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর আওতায় আসে সেজন্য সকলের কাছে সহযোগীতা প্রত্যাশা করেন তিনি।
মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার গুরুত্ব ও ভিটামিন এ ক্যাপসুলে প্রাণীজ ও উদ্ভিজ আমিষের উৎস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।