লন্ডনঃ যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ মিশনের মিনিষ্টার পলিটিক্যাল নাসরিন মুক্তির অকাল মৃত্যুতে লন্ডস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনসহ লন্ডনের বাঙ্গালী কমিউনিটিতে দুঃখের আবহ বইছে। এই কুটনীতিকের অকাল প্রয়াণে বাংলাদেশ মিশনে কর্মরত তার সহকর্মিরা অনেকেই বাকরুদ্ধ। গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০:৩৫ মিনিটে লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন(ইন্না লিল্লাহি…)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো মাত্র ৪৯ বছর। তিনি স্বামী ও একমাত্র শিশুকন্যাসহ আত্মীয়স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার জোহরের নামাজের পর ব্রিকলেন মসজিদে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং শেষে তার মরদেহ বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করে এক শোকর্বাতায় বলেন, “নাসরিন মুক্তি বিগত ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ হাই কমিশন, লন্ডনের মিনিস্টার(পলিটিক্যাল) পদে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও কর্মদক্ষতার সাথে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সার্বিক সম্পর্ক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য দায়িত্ব ও ভূমিকা পালন করে গেছেন যার জন্য আমি তাঁর কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। তাঁর অকাল মৃত্যুতে আমরা একজন মেধাবি ও কর্তব্যপরায়ণ সরকারি কর্মকর্তা ও সহকর্মীকে হারালাম। এই গভীর শোকাবহ সময়ে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন সব ধরণের সাহায্য-সহযোগিতার জন্য সার্বক্ষনিকভাবে মরহুমের পরিবারের পাশেই রয়েছে। ওই শোকবার্তায় মরহুমা নাসরিন মুক্তির শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে ও তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
নাসরিন মুক্তি ছিলেন বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কমান্ডার জনাব জালাল উদ্দিন(বীরোত্তম)-এর এক সাহসী সন্তান।
প্রয়াত নাসরিন লন্ডন হাই কমিশনে যোগ দেয়ার আগে বিসিএস ২০তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডারের একজন চৌকস কর্মকর্তা হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে উচ্চ পদে অত্যন্ত নিষ্ঠা, সততা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।