মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে জাম্বুরা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ৫ বছরের এক শিশুকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে উঠেছে মো. আলম কবিরাজ(৭০) নামে এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার(৮ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের মধ্যভাগ এলাকার নইনারপার বাজারের পাশে একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। অভিযুক্ত আলম কবিরাজ একই এলাকার মৃত খলিল মিয়ার ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, জাম্বুরা খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ৫ বছরের এক শিশুকে একটি ঘরে নিয়ে দরজা বন্ধ করে ৫মিনিটের মতো শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করতো। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর শনিবার বিচারের মাধ্যমে শেষ হবে বলে জানান স্থানীয়রা।

শিশুটির বাবা সোহেল মিয়া জানান, বিষয়টি প্রথমে আমার জানা ছিল না। পরে আমার স্ত্রীর মাধ্যমে জানতে পারলাম এলাকার কবিরাজ নামে পরিচিত সোহেল মিয়া আমার মেয়েকে জাম্বুরার লোভ দেখিয়ে একটি কক্ষে নিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে। শনিবার দুপুরে স্থানীয় বাজারে এলাকার ইউপি চেয়ারম্যার বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন। তিনি আর এমন কাজ করবেন না বলে সাদা কাগজে সাক্ষর দিয়েছে।

শিশুটির বাবা আরও বলেন, আমি এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা না। আমি মামলা টামলা করে চালানোর মতো ক্ষমতা নাই। যার কারণে স্থানীয় চেয়ারম্যান যে বিচার করে দিবেন আমার মেয়ের হয়ে আমি সেই বিচার মেনে নিবো। আমিও বিচারে আল্লাহর ওয়াস্তে ছেড়ে দিছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আজীম উদ্দিন জানান, জাম্বুরা খাওয়ানোর কথা বলে মেয়েটাকে দস্তা দস্তি করেছে একটু আদর করেছে। এগুলো প্রমাণিত হয়েছে। আমরা স্থানীয়রা বিষয়টা নিয়ে আদমপুর ইউনিয়নের নইনারপার বাজারে বসেছিলাম। এখানে আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো: আবদাল হোসেন ও পুলিশের লোকজনও ছিল। সিদ্ধান্ত হয়েছে এই এলাকায়(বাজারে) ৩ মাসের জন্য আলম কবিরাজ আসতে পারবেন না। তিনি তাবিজ কবজ দেন এলাকায় সেটাও করতে পারবেন না।

বিচারের মাধ্যমে একটা মেয়েকে রুমে আটক করে আদর ও তার শরীরের গোপন বিভিন্নস্থানে স্পর্শ করার অভিযোগটি প্রমাণিত হওয়ার পরও এ কেমন বিচার হল? এ বিষয়টা নিয়ে এই প্রতিবেদক জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন চেয়ারম্যান বাকিটা জানেন আমি বলতে পারবো না। আদমপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো: আবদাল হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। শ্লীলতাহানির অভিযোগ সঠিক নয়। এরপরও আমরা বৃদ্ধকে সতর্ক করে দিয়েছি। অভিযোগ থাকলে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে পারেন সংশ্লিষ্টরা।

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তীর মুঠোফোনে এ বিষয়টি জানার জন্য একাধিকবার কল করলেও পাওয়া যায়নি।