মৌলভীবাজার অফিস: শনিবার ১৭ই অগ্রহায়ণ ১৪২৩।। মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ইসলামপুরে আবারো অশ্লীল যাত্রা ও জুয়ার আসরের আয়োজন করায় ফের ক্ষেপেছে উপজেলার ধর্মপ্রান মানুষ। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই যাত্রার আয়োজন করায় এলাকায় আবারো উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে ফতেহপুরের মোকামবাজার ও খেয়াঘাটবাজারে মিছিল করেছে বিক্ষুব্ধ জনসাধারণ। এছাড়াও কয়েকশ’ মানুষের স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি জমা দেয়া হয়েছে। দুই বছর আগে ইসলামপুরে আয়োজিত যাত্রা প্যান্ডেল জ্বালিয়ে দিয়েছিল স্থানীয় হাজারো জনতা।
স্মারকলিপি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে আখল মিয়া, বর্ষিজুড়ার আওয়াল, গিয়াসনগরের মাহতাবসহ কয়েকজন ব্যক্তি এই অশ্লীল যাত্রা ও জুয়ার আয়োজন করেছেন। জনমত উপেক্ষা করে ও প্রশাসনের অনুমতির আগেই ইসলামপুরের মাঠে যাত্রা প্যান্ডেল নির্মাণ চলছে। এ নিয়ে ফতেহপুরের বেশ কয়েকটি গ্রামের কয়েকশ মানুষ গণস্বাক্ষর করে জেলা প্রশাসকের নিকট জমা দিয়েছেন। স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৮ই নভেম্বর ইসলামপুরে যাত্রা, জুয়া ও পতিতাবৃত্তির আয়োজন করে কতিপয় ব্যক্তি। এর বিরুদ্ধে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মানুষ জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয়। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় উত্তেজিত ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষ বেশ কয়েকদিন মিছিল মিটিং করেন। পরে ২৯শে নভেম্বর প্রায় ২৫টি গ্রামের ধর্মপ্রাণ মানুষ মিছিল নিয়ে ইসলামপুরের যাত্রার আসরে হামলা চালিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। আবারও ওই একই স্থানে যাত্রা ও জুয়ার আসর বসানো হচ্ছে। এদিকে এ ঘটনায় এলাকার বিক্ষুব্ধ মানুষ শুক্রবার ফতেহপুরের মোকামবাজার ও খেয়াঘাটবাজারে মিছিল সমাবেশ করেছে। সমাবেশে বক্তারা যাত্রার আয়োজন বন্ধ ও দুষ্কৃতকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান। যাত্রা আয়োজকদের একজন ইসলামপুর গ্রামের আখল মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ এসেছিল। বলেছে অনুমোদনের কাগজ নিয়ে থানায় যাওয়ার জন্য। আমরা যাত্রার অনুমোদন পেয়েছি। কাগজ নিয়ে আমরা রাজনগরে আসবো।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, যাত্রা আয়োজনের খবর পেয়ে আমি পুলিশ পাঠিয়েছি। আয়োজকদের যাত্রার প্যান্ডেল ভেঙে দিতে বলা হয়েছে। রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বলেন, রাজনগর থানার ওসি সাহেব বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত ওদের সময় দেয়া হয়েছে। যদি ভাঙা না হয় তাহলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে তা গুঁড়িয়ে দেয়া হবে।