লন্ডন: শুক্রবার, ২৩শে অগ্রহায়ণ ১৪২৩।। বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত বৃটিশ এমপি রওশনারা আলী তার টুইটার একাউন্টে গত ৮ই ডিসেম্বর লিখেছেন মায়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি লিখেছেন যে ৭০ জন বৃটিশ এমপি, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রী বরিস জনসনকে মায়ানমারের আরাকান রাজ্যের রোহিঙ্গাদের উপর মানবতা বিরুধী সামরিক অভিযানের নিন্দা করে এ বিষয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানিয়েছেন। তিনি নিজেও লিখেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে।
৭ই ডিসেম্বর স্বাক্ষরযুক্ত এক সরকারী চিঠিতে তিনি লিখেছেন যে, মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের নিয়ে জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও ‘হিউমেন রাইটস ওয়াচ’ এর বিবরণ পাঠে আমরা আমাদের গভীর দুশ্চিন্তার কথা জানাচ্ছি। সংস্থা ৩টি তাদের বিবরণে জানিয়েছে যে মায়ানমার, উত্তর রাখাইন রাজ্যে বিচার বিবেচনহীনভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনার দফতরের উদৃতি দিয়ে তিনি তার পত্রে আরও লিখেছেন, “গত ৯ই অক্টোবর মায়ানমার সীমান্তের তিনটি জায়গায় ৯জন সীমান্তরক্ষী পুলিশকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মায়ানমারের নিরাপত্তা রক্ষীবাহিনী নির্বিচারে ওই রাজ্যে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে।” জাতিসংঘ হাইকমিশনারের দফতর বলেছে যে প্রানভয়ে হাজার হাজার মানুষ বাড়ীঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। কারণ ওই ৯জন সীমান্ত পুলিশ হত্যার কারণে মায়ানমারের সরকারী বাহিনী অত্যাচার, হত্যা, লুন্ঠন, নারী ধর্ষণ, বাড়ীঘর ও মসজিদ ধ্বংসের মত জঘণ্য মানবতা বিরুধী অপরাধমূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি লিখেছেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বলেছে যে মায়ানমারের নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী সামরিক বাহিনীর সমর্থনে উত্তর রাখাইন রাজ্যের নিরীহ মানুষের উপর হেলিকপ্টার থেকে নির্বিচারে গুলি করেছে এবং বহু বাড়ীঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। অসংখ্য গ্রেপ্তার করেছে, বালিকা ও নারী ধর্ষণের মত ঘটনাও ঘটিয়েছে।
গত ১৩ই নভেম্বর ‘হিউমেন রাইট ওয়াচ’ প্রকাশ করেছে একটি ‘সেটেলাইট ফুটেজ’ যেখানে দেখা যায় ঘনবসতিপূর্ণ রোহিঙ্গা এলাকায় বাড়ীঘর জ্বলিতেছে। এ থেকে পাওয়া গেছে যে মোট তিনটি এলাকার ৪৩০টি দালান পুরিয়ে দেয়া হয়েছে বিগত অক্টোবরের শেষে আর নভেম্বরের শুরুতে।