হারুনূর রশীদ।।
বৃটেন আর আমেরিকা সারা বিশ্বের মানুষকে মাত্রাতিরিক্ত এক সংশয় আর দূর্ভাবনার মধ্যে রেখেছে। গোটা আমেরিকার সুশীল সমাজসহ বলতে গেলে সকলেই ভোট দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার পরের দিন থেকেই তার পেছনে লেগেছেন। তাকে গালাগালি থেকে শুরু করে এমন কোন ভাষা নেই যা তার উপর প্রয়োগ করেননি। এ কেমন আচরণ দুনিয়ার মানুষের সাথে। আমেরিকার অধিকাংশ মানুষ ভোট দিয়ে তাকে চেয়ারে বসালেন এখন আবার তাকে গালি-বকা দিয়ে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ছেন। তা’হলে কি আমরা বুঝবো আমেরিকার মত দেশেও আমাদের দেশের মত ভোট জালিয়াতি হয়ে এ অঘটন ঘটেছে!
ট্রাম্প পাশ করেছেন। তার নির্বাচনী এজেন্ডা ছিল। সে মোতাবেক তিনি কাজ শুরু করেছেন। সাধারণ মানুষকে দেয়া তার কথা তিনি রাখছেন। এখানে অন্যায়টা কি, আমরা আসলেই বুঝিনা! তিনি পাশ করেছেন অন্যের মেনুফেস্টো কার্যকর করার জন্য? এ হয় না-কি? যারা ট্রাম্পের বিরুধীতা করে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য চাপ সৃস্টি করে চলেছেন তাদরকে বলি- নিজেদের এজেন্ডা নিজেরা করুন। অন্যের কাঁধে সোয়ার হয়ে কাজ করাতে চান! এটা কিসের ইঙ্গিত?
একই অবস্থা বৃটেনেরও। সবাই মিলে ভোট দিলেন ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে। পরে বলেন, এ কেমন কথা- আমরাতো বেরিয়ে আসতে চাইনি। তা’হলে দু’দেশের ভোটকে কে বা কারা(?) টুইস্ট করে দিল? তাদের পরিচয় খুঁজা হোক। এদের বের করা হোক এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হোক। সে পথে না হেটে দরীদ্র দেশের ন্যায় ঘোলা জলে মাছ শিকারের আচরণ দুঃখজনক। উভয় দেশের এ দ্বিমুখি আচরণ সারা দুনিয়ার মানুষকে খুবই সংশয় আর দূর্ভাবনার মধ্যে রেখেছে।
লন্ডন: শুক্রবার, ২৭মে মাঘ ১৪২৩।।