সৈয়দ ছায়েদ আহমদ।। শ্রীমঙ্গল, সোমবার ৮ই ফাল্গুন ১৪২৩।। আসছে মহান আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষা আন্দোলনের জন্য যারা জীবন দিয়েছিলেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতেই হবে। কিন্ত কোথায় নিবেদন করব? প্রায় ৪/৫ কিলোমিটার দুরে শহরের শহীদ মিনারে গিয়েও শ্রদ্ধা নিবেদন অনেকটা দুষ্কর। এই কথাগুলো বলছিলেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের রামনগর মনিপুরী বস্তি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিভা রাণী দেবী। তাই গতকাল সোমবার নিজ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণেই শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রস্তুতি। এর জন্য বাশঁ, বেত, লোহা, রশি, দা, কোদালসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি নিয়ে শহীদ মিনার তৈরী কাজে লেগে যান, ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষকসহ অফিস সহকারীরা। সোমবার দুপুরে সংবাদ সংগ্রহের পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এমন দৃশ্য দেখে এবং প্রধান শিক্ষিকার সাথে আলাপকালে এ তথ্য জানাযায়। এসময় স্কুলে উপস্থিত হন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো: আরজু মিয়া ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জয়া শর্মা। তাই উভয়ই অস্থায়ী শহীদ মিনার নির্মানে আর্থিক সহযোগীতা করেন। মো: আরজু মিয়া জানান, শহীদ মিনার অবশ্যই দরকার, তবে এর আগে শিক্ষার্থীদের শহীদ মিনারের তাৎপর্য ও প্রয়োজনীতা সম্পর্কে অবগত করতে হবে। এসময় উপজেলার আরো কয়েকটি স্কুলে সরেজমিন গেলে এমন দৃশ্য দেখা যায়নি। ওই সময় শিক্ষকদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, বিকালে বা সকালে হয়তো অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরী করা হবে। শ্রীমঙ্গল উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলায় মোট ১৩৮ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে হাতেগুনা কয়েকটি স্কুলে শহীদ মিনার রয়েছে। তবে সরকারী ভাবে স্কুলে শহীদ মিনার নির্মানের জন্য কোন নির্দেশনা নেই।