মুক্তকথা : লন্ডন।। প্রথম দফা শেষ হওয়ার পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াইয়ে উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। প্রত্যাশা মতোই প্রথম দফার ভোটের ফলাফল বেরনোর পরে দেখা যাচ্ছে, মধ্যপন্থী নেতা ইমানুয়েল ম্যাক্রন এবং চরম–দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতা মারি লে পেন একে অপরের সঙ্গে নির্বাচনী লড়াইয়ে লড়বেন। পেন পেয়েছেন ২১.৪ শতাংশ ভোট। প্রথমবার নির্বাচনে লড়া ম্যাক্রনের দখলে ২৩.৯ শতাংশ। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে লড়াইয়ে ফ্রান্সের অবস্থান কী হবে, সেটাই এবারের নির্বাচনের মূল নির্ণায়ক হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসার পক্ষ অবলম্বন করবেন চরম–দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল ফ্রন্টের নেতা মারি লে পেন বলেই বৃটেনের বাংলাদেশী প্রবাসী সম্প্রদায় ও বিশেষ কতিপয় রাজনৈতিক মহলের ধারণা। এই লে পেন ফ্রান্সে সন্ত্রাসবাদী কাজের হোতা হিসেবে ওখানকার মুসলিম সম্প্রদায়কে কারণে অকারণে দায়ী করার পথে চলবেন বলে তারা আরও মনে করছেন। তবে বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষের ধারণা যে অবশেষে ইমানুয়েল ম্যাক্রনই বিজয়ী হবেন।
ম্যাক্রন বলেছেন, “দেশকে অনিশ্চয়তা আর ভীতি থেকে পরিবর্তনের পথে নিয়ে যেতে চাই। প্রতি মুহূর্তে ফরাসি জনগণের ভয়, অনিশ্চয়তা আর ক্ষোভের কথা শুনতে পাচ্ছি। এই আতঙ্ককে শেষ করতেই হবে। ফ্রান্সের মাটিতে যাতে সন্ত্রাসবাদীরা আর একফোঁটাও রক্ত না ঝরাতে পারে, সেদিকেই জোর দিতে হবে।”
পেন বলেছেন, “আমি জনগণের প্রার্থী। সত্যিকারের দেশপ্রেমিকদের প্রতি আমি ভোটের আবেদন জানাচ্ছি, তাদের শেকড় যেখানেই থাকুক, তাঁরা যেখানেই থেকে থাকুন, ফ্রান্সের স্বার্থে তাঁরা আমার পাশেই দাঁড়াবেন।”