লন্ডন: কাতারের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার শর্ত হিসেবে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন আরব জোটের পক্ষ থেকে চার রাষ্ট্রের দেয়া ১৩দফা শর্ত মেনে নেয়ার বিষয়ে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন এ শর্তগুলো যুক্তিসংগত নয় এবং এগুলো কার্যকরী করার মত কিছুও নয়।
সৌদি আরবসহ মিশর, ইউনাইটেড আরব আমিরাত ও বাহরাইনের পক্ষ থেকে দেয়া ১৩দফা শর্ত কাতার পর্যালোচনা করে দেখছে এবং একটি ন্যায় সংগত লিখিত উত্তর তৈরী করছে। আলজাজিরা এ খবর দিয়েছে। তাৎক্ষনিক উত্তর হিসেবে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তা নাকোচ করে দিয়েছেন। গত ২২শে জুন কাতারের পররাষ্ট্র দপ্তর দাপ্তরিকভাবে এ শর্ত তালিকা পেয়েছিল।
কাতার সরকারের যোগাযোগ দপ্তরের পরিচালক শেখ সায়েফ বিন আহমদ আল থানি গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, শর্তের এ তালিকা প্রমাণ করে যা আমরা অনেক আগ থেকেই বলে আসছি। এ সব শর্ত সন্ত্রাসবাদ দমনের জন্য নয় বরং এগুলো কাতারের সার্বভৌমত্বকে সীমিত করে আনা এবং আমাদের বৈদেশিক নীতিতে হস্তক্ষেপ করার লক্ষ্যে প্রণীত।
মার্কিন স্বরাষ্ট্র সচিব অতিসম্প্রতি কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ সৃষ্টিকারী দেশসমূহের উদ্দেশ্যে একটি যুক্তিসংগত ও কার্যকরী কারণ দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। বৃটিশ পররাষ্ট্র সচিব বলেছিলেন দাবীগুলো সুবিবেচিত ও বাস্তবভিত্তিক হতে হবে। কিন্তু যে তালিকা দেয়া হয়েছে তা ওই বিচারের মানসম্মত নয়।
মার্কিন দেশের কাতারি দূত মেশাল বিন হামাদ আল থানি এই শর্ত তালিকার কঠোর সমালোচনা করেছেন।