মানুষের একটি খারাপ অভ্যাস হলো অন্যকে নিয়ে সমালোচনা করা। যারা অন্যকে নিয়ে সমালোচনা করে তারা নিজেদেরকে অনেক জ্ঞানী ভাবেন। তারা ভাবে এটা তাদের একটি গুণ যে তারা একটি মানুষকে চিনতে পেরেছেন, তার ব্যক্তিত্বকে চিনতে পেরেছেন।
যারা অন্যের সমালোচনায় মত্ত থাকে, তারা নিজের সম্পর্কে কতটুকু জানে? তারা কি নিজেদেরকে চিনতে পেরেছে। তারাতো অন্যের দোষ, ত্রুটি, দুর্বলতা খুঁজে বেড়ায়। তারা কি কখনো নিজেকে প্রশ্ন করেছে কি(?) তারা কে, তাদের কি গুন আছে। তারা কি ব্যক্তি হিসেবে নিখুঁত? তারা কি কখনো নিজেকে তিনটি শব্দে ব্যাখ্যা করতে পারবে। তারা মানুষের সমালোচনায় এত মত্ত থাকে যে তারা আয়নার ব্যক্তিকেও চিনতে পারে না, যেটা তাদেরই প্রতিবিম্ব। একবার আয়নায় দাঁড়িয়ে নিজের প্রতিবিম্বের দিকে তাকিয়ে নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুনতো আপনি কে? অন্যকে নিয়ে সমালোচনা করা ঠিক হচ্ছে কি না? দেখবেন বিবেক সঠিক জবাব দিবে। কারণ বিবেক সব সময় সঠিক দিক নির্দেশনা দেয়। আপনার বিবেকই আপনাকে বলে দিবে আপনি কে।
নিজেকে সুন্দর করে গড়তে হলে অন্যের সমালোচনা নয় আত্মসমালোচনা করুন। নিজেকে নিজে চিনুন। একজন জ্ঞানী ব্যক্তি সর্বপ্রথম নিজেকে জানে তারপর দুনিয়াকে জানাতে চেষ্টা করে। সে জানে অন্যের সমালোচনা নয় আত্মসমালোচনাই জ্ঞানের কাজ।
বিখ্যাত দার্শনিক সক্রেটিস বলেছেন, “know thyself” অর্থ হলো, “নিজেকে জানো”। যে নিজেকে চিনতে পারে সেই প্রকৃত জ্ঞানী। অনেক মানুষ আছে যার নিজের কথা ছাড়া অন্যের কথা কানেও তুলেননা। তাদের ভাবখানা এমন যে তিনি নিজেই সবকিছু জানেন এবং অন্যের কথা বিবেচনা না করে নিজের বলা কথাকেই সঠিক বলে জাহির করেন। তারা অল্পতেই দমে, নিজেকে অনেকবেশি বলে জাহির করে। এই ধরনের মনমানসিকতা সেই সব মানুষের মধ্যে দেখা যায় যারা অল্প কিছু দিন আগে জ্ঞানচর্চা শুরু করেছে।
মানুষ মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত জ্ঞানী হতে পারে না শুধুমাত্র জ্ঞানী হওয়ার প্রয়াশ করতে পারে। এ জন্যই যে নিজেকে জেনেছে সে জ্ঞানের কাছাকাছি গিয়েছে আর যে নিজেকেই জানেনি সে জ্ঞানকেই বুঝতে পারেনি।
|