লন্ডন: ভারতের ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী শ্রদ্ধেয় মাণিক সরকারের নাম বাংলাদেশের কেউ জানেনা এমন মানুষ মনে হয় বের করা কঠিন হবে। বলতে পারি বাংলাদেশের শহুরেরাতো জানেনই এমনকি অজোগাঁয়ের লোকজনও কম জানেন না। তাদের সকলেই না জানলেও অনেকেই যে জানেন তা নিশ্চিতভাবে আমি বলতে পারি। বহুবার সংবাদপত্রে এই গুণী মানুষটির নাম দেখেছি।
তিনি ত্রিপুরার মুখ্যন্ত্রী। ১৯৯৮ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি দায়ীত্বপালন করে যাচ্ছেন। রাজনীতিক হিসেবে তিনি ভারতের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টির পলিটব্যুরোর একজন সদস্য। ২০০৮ সালের মার্চ মাসে তিনি বামফ্রন্টের নেতা হিসেবে দায়ীত্বপ্রাপ্ত হন এবং ত্রিপুরায় সন্মিলিত সরকার গঠন করেন। ২০১৩ সালের লোকসভায় তিনি চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন এবং এখনও দায়ীত্ব পালন করে যাচ্ছেন। বলে নেয়া যুক্তিসংগত যে তিনি ১৯৪৯ সালের ২২শে জানুয়ারী এ ধরাধামে আবির্ভুত হয়েছিলেন।
সর্বজন শ্রদ্ধেয়, অন্ততঃ ত্রিপুরার সকল রাজনীতির মানুষই তাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে; মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সরকারের সততা, খাঁটী মানবিক মূল্যবোধ থেকে সাদা-মাটা জীবন যাপন এবং সবচেয়ে বড় যে বিষয় যে, ক্ষমতায় থেকেও কোনরূপভাবে ভাগ্য গড়ে তোলার অসাধু পথে পা না দেয়ার কাহিনী কে না জানে। এতো স্বচ্ছ পবিত্র মন আর চরিত্রের মানুষ বর্তমান দুনিয়ায় খোঁজে বের করা মুস্কিলই শুধু নয়, পাওয়াই যাবে না। সার্কভুক্ত এতোদাঞ্চলীয় রাজনীতিতে স্বচ্ছ সৎ নীতি ও দায়ীত্ববান দ্বিতীয় মাণিক সরকার এককথায় নেই। সারা গুগল খুঁজে দ্বিতীয় মাণিক সরকার আমি পাইনি।
আমেরিকা প্রবাসী জনাব শাহাবুদ্দীন চৌধুরীর ফেইচবুক দেখতে গিয়ে একটি পোষ্ট দেখে আজকের এই নিরস আলাপ। জার্মানীতে বসবাসকারী একজন সাকি চৌধুরীর ফেইচবুক থেকে শাহাবুদ্দীন চৌধুরী সাহেব তার ফেইচবুকে গুণীজন এই মাণিকবাবুর জীবনের জমা-খরচের এক ছোট্ট হিসেব তুলে ধরেছেন। তার ফেইচবুক পোষ্টের নিচেই যে মন্তব্য চোখে পড়লো তা থেকেই এই আলোচনার প্রয়াস। কোনরূপ মন্তব্য ছাড়াই হুবহু সেই কথাগুলো এখানে তুলে দিলাম। সত্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে একখানা ‘স্ক্রিনশট’ও সাথে রেখে দিলাম।
“এ রকম ছবি আর উদাহরণ বাংলাদেশের মানুষজনকে না দেখানোই উত্তম ।
এই চরিত্রের মানুষ আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে কখনও আসবেন না। যারা ছিলেন তাঁদেরকে মানুষ ভোট দেয়নি ।
মাণিক সরকারকে তো মানুষ ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছে ।
আমাদের দেশে প্রয়াত নির্মল সেন ভোটে দাঁড়াতেন প্রতিবারই । জামানতের টাকা ফেরত পাওয়ার মত ভোট কখনও উনার ভাগ্যে জুটে নি ।
আমরা চোর, ডাকাত আর লাঠিয়াল সর্দারদের রাজনীতিতে দেখতে পছন্দ করি।”