প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ।।
সমতার ভিত্তিতে দেশব্যাপী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির তালিকা প্রকাশ করা হলেও মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক স্তরে এমপিওভুক্তি হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জনবল কাঠামো, স্থাপনা, কাংখিত শিক্ষার্থীসহ সব শর্ত পূরণের পরও দীর্ঘ ৩৫ বছরেও এই প্রতিষ্ঠানটি মাধ্যমিক স্তরে এমপিও বি ত হওয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এলাকাবাসী জানান, যোগ্যতার মাপকাঠিতে কোনো ঘাটতি না থাকা সত্ত্বেও এমপিওভুক্তি না হওয়াটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। এলাকাবাসী বিষয়টি পূণ:র্বিবেচনার সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশুদৃষ্টি কামনা করছেন।
দীর্ঘ ৩৫ বছরেও মাধ্যমিক স্তরে এমপিওভুক্তি হয়নি কমলগঞ্জের শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়। ছবি: মুক্তকথা |
গত ২৩ অক্টোবর গণভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এমপিওভুক্ত নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকা ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তালিকা প্রকাশের পর কমলগঞ্জ উপজেলার শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অভিযোগ করছেন, নীতিমালা মানা হলে এই প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন পেত তালিকায়। ফের তদন্তের মাধ্যমে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকায় যুক্ত করে নতুন তালিকা প্রকাশের দাবি জানান। এলাকাবাসী জানান, শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক স্তরে এমপিওভুক্ত হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করা হয়ছিল। এ বিদ্যালয়গুলো দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওভুক্ত হয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে। নীতিমালা অনুযায়ী এ প্রতিষ্ঠান সব শর্ত পূরণ করেই তারা আবেদন করেছে। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ের নি¤œমাধ্যমিক স্তরে ৫ জন শিক্ষক ও ২ জন কর্মচারী এমপিওভুক্তি আছে। খন্ডকালীন আরো ৪ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। বিদ্যালয়ে মোট ৪২৫ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। চলতি বছরে এই বিদ্যালয় থেকে ৫৩ জন পরীক্ষার্থী জেএসসি এবং ৪৪ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিবে।
এমপিওভুক্তির সব শর্ত পূরণ করেই আবেদন করেছেন এমন দাবি করে শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফজলুর রহমান বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী আমার বিদ্যালয় সব শর্ত পূরণ করে। এ বিদ্যালয়টি ১৯৭৩ সালে ৫০ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৪ সালে নিম্নমাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওভুক্ত হয়েছে। ২০০০ সালে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে একাডেমিক স্বীকৃতিও পেয়েছে। একাডেমিক স্বীকৃতির মেয়াদ, শিক্ষার্থী সংখ্যা, পরিক্ষার্থীর সংখ্যা ও ফলাফল সবকিছু বিবেচনায় এমপিওভুক্তির শতভাগ শর্ত পূরণ করে এই বিদ্যালয়। তারপরও আমাদের এই বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়নি, এটা এখনো বিশ্বাসই করতে পারছি না।
শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আব্দুস সালাম বলেন, ‘সকল চেষ্টা চালিয়েও দীর্ঘ ৩৫ বছরেও বিদ্যালয়টি মাধ্যমিক স্তরে এমপিও না হওয়ায় বি ত শিক্ষকবৃন্দের মনে সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন জাগে-আর কতবার এসএসসি পরীক্ষা দিলে মাধ্যমিক পর্যায়ে এমপিওভুক্ত হবে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটি পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের পাশাপাশি সকল জাতীয় কর্মসূচিসহ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিতে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে ধারাবাহিকভাবে। এ ব্যাপারে মানবতার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি, স্থানীয় সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে মিনতি জানিয়ে বিদ্যালয়টি দ্রুততার ভিত্তিতে এমপিওভুক্তির আবেদন জানান।
এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুন্নাহার পারভীন বলেন, আমার জানামতে, এই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ই এমপিওভুক্তির উপযোগী। দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে স্কুলটি পরিচালিত হয়ে আসছে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর, ভাসানীগাঁও, পদ্মছড়া, ধলাইপারসহ ভানুগাছ বাজারের আশপাশের বিভিন্ন রিক্সা অটোরিক্সাকে যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে সিএনজি চালকদের বাঁধা প্রদান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শতাধিক রিক্সাচালক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে রোববার বিকাল ৪টায় একটি লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন।
ইউএনও-এর কাছে রিক্সাচালকগন লিখিত অভিযোগ দিচ্ছেন। ছবি: মুক্তকথা |
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিস বেগমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অভিযোগের অনুলিপি কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(শ্রীমঙ্গল সার্কেল) ও কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে প্রদান করা হয়েছে।
আলাপকালে রিক্সাচালক রানা বখত, কুদ্দুস মিয়া, আলকাছ মিয়া, বাবুল মিয়া জানান, আমাদের জীবীকা নির্বাহের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে রিক্সা/অটোরিক্সা। কিন্তু তা আজ হুমকির মুখে পড়েছে। রাস্তায় রিক্সা নিয়ে নামলেই সিএনজি চালক ও সমিতির লোক আমাদের রিক্সা থামিয়ে রিক্সায় থাকা স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ যাত্রীদেরকে নামিয়ে দেয় এবং যাত্রী ও রিক্সাচালকদের সাথে খারাপ আচরণ করে। এ রকম আচরণের কারণ জানতে চাইলে সিএনজি চালকরা আমাদের লাি ত করে। সারাদিন যা রুজি রোজগার হয় তাহার হিসাব মালিকদের দিয়ে শুণ্য হাতেই বাড়ি ফিরতে হয়। আর এর উপর সিএনজি চালকদের লা না মরার উপর খাড়ার ঘা’র মতো। আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের আধকানী গ্রামে এক প্রবাসীর বাড়িতে দূর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে।
জানা যায়, গত বুধবার দিবাগত রাত ৩ টায় আধকানী গ্রামের কুলসুম বেগমের আধা পাকা গৃহে সিধ কেঁটে ঘরে প্রবেশ করে চোরচক্র। এ সময় গৃহে ৪ জন মহিলা ছাড়া কোন পুরুষ ছিলনা। চোরদল গৃহে থাকা নগদ ৯০ হাজার টাকা, ২ভরি স্বর্ণালংকার, কাপড় চোপড়, ২টি স্মার্ট মুঠোফোনসহ প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক কুলসুম বেগম বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নের একটি চা বাগান থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সদস্যরা পরিত্যক্ত অবস্থায় দুটি একনলা বন্দুক উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় চাম্পরায় চা বাগানের ফাঁড়ি সোনারায় চা বাগান থেকে এই দুটি বন্দুক উদ্ধার হয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি)-এর সদস্যরা পরিত্যক্ত অবস্থায় দুটি একনলা বন্দুক উদ্ধার করে। ছবি: মুক্তকথা |
বিজিবি ও কমলগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সোনারায় পঁচিশের মূখ গোলটিলা জঙ্গলের ফাঁড়ি পথে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২টি একনালা বন্দুক পড়েছিল। কুরমা ক্যাম্পের বিজিবি হাবিলদার আবু বক্কর সিদ্দিকির নেতৃত্বে বিজিবির একটি টহল দল সীমান্ত চৌকির পঁচিশের মূখ গোলটিলা সোনারায় এলাকায় টহল দিচ্ছিল। এ সময় বিজিবি টহল দল জঙ্গলের ফাঁড়ি পথে (পায়ে হাঁটা রাস্তায়) পুরনো একনলা ২টি বন্দুক পড়ে থাকতে দেখে সেগুলি উদ্ধার করেন। ৪৬ বিজিবি ব্যাটেলিয়ানের কুরমা ক্যাম্পের হাবিলদার আবু বক্কর সিদ্দিকি, বিজিবি জোয়ান শহীদ আহমেদ, আরিফুল ইসলাম যৌথভাবে এসে উদ্ধারকৃত বন্দুক দুটি বৃহস্পতিবার বিকেলে কমলগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেন।
বিজিবি ৪৬ ব্যাটালিয়ান কুরমা ক্যাম্পের হাবিলদার আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, উর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশে বন্দুক দুটি বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিত্যক্ত দেখিয়ে কমলগঞ্জ থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান পরিত্যক্ত অবস্থায় দুটি একনলা বন্দুক উদ্ধার ও পরে বিজিবির মাধ্যমে থানায় গ্রহনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, তদন্তক্রমে দেখা হবে বন্দুকগুলো এখানে কিভাবে আসলো ? নাকি এগুলো কারো নামে নিবন্ধনকৃত কি না?