মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। বর্তমান বিশ্বের হাতে গোনা কিছু সংখ্যক লেখক-গবেষক ছাড়া কোটি কোটি সাধারণ মানুষের অনেকেই জানেন না এই “ওয়েষ্ট চপ” শাস্তির বিষয়ে। নামের সাথে এই শাস্তির মিল ছিল আগাগোড়াই। এই শাস্তি আধুনিক মৃত্যুদণ্ডের মতই একটি শাস্তি বলবৎ ছিল প্রাচীন আমলের চীনা সমাজে।
খুবই জঘন্য অপরাধীকে এ শাস্তি পেতে হতো। অতীব ভয়ংকর এ শাস্তি দিতে গিয়ে অপরাধিকে কোমরের কাছে ধারালো দাও দিয়ে দ্বিখণ্ডিত করে ফেলা হতো। অপরাধির অপরাধের গুরুত্বের উপর নির্ভর করতো তার শরীরকে কত ভাগ করা হবে। অনেক সময় বহুখণ্ডে টুকরো টুকরো করা হতো।
তেমনি এক শাস্তির কিছু নথি পাওয়া যায় প্রাচীন চীনের ঝাও গোত্রের পুরোনো কাগজপত্রাদি ঘেঁটে।
সে খৃষ্টপূর্ব সময়ের ঘটনা। ঝৌ বংশের রাজত্বকাল। সে সময় তিনরূপে এ শাস্তি কার্যকরী করা হতো। ‘চেলি’, ‘ঝাঁন’ ও ‘শা’ নামে এ শাস্তি পদ্বতি পরিচিত ছিল। চেলি অর্থাৎ অপরাধীর শরীরকে ৪টুকরা করে নেয়া। ঝাঁন অর্থাৎ কোমরের কাছে শরীরকে দু’টুকরা করা এবং শা অর্থাৎ শরীর থেকে মাথা পৃথক করা। তখন সম্রাট হংগুই এর শাসনকাল। গাও কী নামের এক কবিকে অর্থ তদারকির দায়ীত্ব দেয়া হয়। কবি মানুষ, সম্রাটকে বুঝাতে চাইলেন যে টাকা-পয়সা ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তার কোন অভিজ্ঞতা নেই। অতএব এ কাজ তিনি করতে পারবেন না। ‘গাও কী’ সম্রাটের বাড়ীর কাছেই অবস্থিত নিল পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত ‘পুলি’ নামক বসতিতে চলে গেলেন এবং ওখানে বসবাসকারী মানুষদের জীবনধারণ শিক্ষায় নিজেকে নিয়োজিত করেন।
সম্রাট ভাবলেন, তিনি রাজবিদ্রোহী। কালের যাত্রায় সময় তখন ১৩৭৪ সাল। তাকে ডেকে এনে শাস্তি দেয়া হলো। তার শরীরকে কেটে ৮টুকরা করা হয়েছিল। এ সময় তার বয়স ছিল ৩৯ বছর।
সূত্র:আমেরিকান এসোসিয়েশন ফর চায়নীজ স্টাডিজ