হারুনূর রশীদ।।
অবশেষে ধনকুবেরদের সংবাদপত্র ‘টাইমস’, ‘মেইল’ আর ‘সান’ বিশ্ব অলিম্পিকে “সাংস্কৃতিক সংঘর্ষ”এর লুক্কায়িত বীজ খুঁজে পেয়েছে। ওরা মনের সুখে সুখটান দিয়ে দম নিয়ে বিশ্ব অলিম্পিকের বিচ ভলিবলের কয়েকটি ছবিতে অংশগ্রহনকারী মিশরী ও জার্মানীর দুই খেলোয়াড়ের পোষাকে আবিষ্কার করেছেন সাংস্কৃতিক সংঘর্ষের লুকানো ছুরি।
তাদের বুদ্ধীর জুড়ি মেলা ভার। তাদের এসব বিষয়ের উপর ডাক্তার উপাধি না দিলে ভবিষ্যতে তাদের মত মুণিষী গবেষক আর জন্ম না ও নিতে পারে! সমুদ্র সৈকত (বিচ) ভলিবলে মিশরীয় নারী তাদের স্বভাবজাত শরীর ঢাকা কাপড় পড়ে খেলেছেন আর তারই সাথে জার্মানীর অপর মহিলা তার দেশ ও সমাজের ঐতিহ্যানুযায়ী বিকিনি পড়ে খেলেছেন। আর যায় কোথায়! ওই তিন পত্রিকার গবেষকেরা দুরবীণ নিয়ে বসে গেলেন। কেনো এমন হলো? ঠিক আছে, যে কোন বিষয়ে গবেষণা করার অধিকার যে কারো আছে। তেনাদেরও আছে। তা গবেষণা কিংবা সুরতহালের পর যা কিছুই বলবেন একটু যুক্তি আর জ্ঞানের পরিচয় তো রাখবেন! না-কি বাহাদূরী ফলানোর জন্য যা খুশী একটা বাজারে ছেড়ে দিলেই হলো। আরে ভাই মিশরী ললনা তো আজ নতুনকরে ওই কাপড় পড়েনি। এ ধরনের কাপড় পড়া তাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য। আর ওই জার্মান ললনারও ওই বিকিনি পড়া সেও তো নতুন কিছু নয়। সেও তো কম করে হলেও কয়েক শত বছরের ঐতিহ্য। এখানে সংঘর্ষের আবিষ্কার কোন মহৎ উদ্দেশ্যে, জানতে পারিকি?
সংস্কৃতির বৈপরীত্ত্ব দুনিয়াতে আজ নতুন কিছু না-কি? মানব সভ্যতার লগ্ন থেকেই এই বৈপরীত্ত্ব চলে আসছে। নমুনার বিভিন্নতা তো থাকবেই। আছেও।
তাদের সুখটানে সামিল হয়ে বিবিসি বাংলাও সুর তুলেছেন। লিখেছেন ইন্টারনেটে মানে টুইটারে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। ঠিকই হয়েছে। টুইটারতো এসব কাজেই ব্যবহার হচ্ছে তার জন্মাবদি। আর সাংঘর্ষিক হলেই আপত্তি বা ভয়ের হেতু কি? টুইটারে কত লক্ষ মানুষ এ আলাপ করেছে বলতে পারেন কি? আর যদি না পারেন তাহলে তোমাদের এসব মন্তব্যের শেকড়ে কি আছে তা স্পষ্ট করে বল।