তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নবীগঞ্জে সহপাঠীদের হাতে খুন হয়েছেন কলেজছাত্র উনিশ বছরের যুবক সৈয়দ তাহসিন। মর্মান্তিক এমন অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার রাত সাড়ে নয়টায় ওসমানি রোডের চৌদ্দ হাজারী মার্কেটের সামনে।
হত্যার ৩দিন পর ১১জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৩দিন অতিবাহিত হলেও এ খবর লিখা পর্যন্ত কোন আসামী পুলিশের কাছে আটক হয়নি। তবে আসামীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন নবীগঞ্জ থানার দায়ীত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তা মাসুক আলী।
নবীগঞ্জ সরকারী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র সৈয়দ তাহসিন বানিয়াচং উপজেলার কালাইনজুড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং শহরের শেরপুর রোডের “রাজন ওয়ার্কসপ”এর স্বত্তাধিকারী সৈয়দ রাজন মিয়ার ছেলে।
এদিকে গতকাল রোববার বিকেলে রাজন মিয়ার স্ত্রী মাহফুজা সুলতানা পপি বাদী হয়ে ১১জনের নামোল্লেখ করে মামলা করেছেন। মামলায় আসামীদের মধ্যে তাহসিনের সহপাঠী মান্নাকে প্রধান আসামী করা হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। আশাকরা হচ্ছে যে খুব দ্রুতই আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ সক্ষম হবে।
তাহসিনকে মারধর বিষয়ক সিসি-টিভি ছবি ও পূর্ব আক্রোশের জের ধরে তাহসিনকে দাফনের আগেই নবীগঞ্জ শহরে দু’গ্রামবাসী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে করে নবীগঞ্জ শহর অনেকটা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বলে নবীগঞ্জের মানুষজন মনে করছেন।