গতকাল শুক্রবার লন্ডন সময় সকাল ৯টায় সন্ট্রোল লন্ডনের সেন্ট বাথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৬৯ বছর।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর শাহ এনাম ১৭ বছর বয়সে জন্মস্থান বগুড়া শহরে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সম্মুখ যুদ্ধে ফুসফুসে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি আহত হন। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযুদ্ধা শাহ এনামকে স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সরকার চিকিৎসার জন্য বুলগেরিয়ায় পাঠিয়েছিলেন। চিকিৎসা শেষে তিনি লন্ডনে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। শাহ এনাম ব্রিটেনে নাট্য এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করে গেছেন।
মৃত্যুকালে শাহ এনাম স্ত্রী, দুই পুত্র এক নাতি, এক নাতনি এবং বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করার জন্য জাতি তাকে চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। শাহ এনামের প্রথম পুত্র জাপান থেকে দেশে ফিরে আসার পর তাকে সমাধিস্ত করার ব্যবস্থা করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।