লন্ডন: বৃটেনে প্রথম বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত মুসলমান সমকামী যুবকের বিয়ে হল গত ২২ জুন বৃহস্পতিবার। জাহেদ চৌধুরী নামের ২৪ বছর বয়সী এই বাংলাদেশী যুবকের সাথে ১৯ বছর বয়সী সিন রগান নামের যুবকের আনুষ্ঠানিক বিয়ের এই নিবন্ধীকরন হল পশ্চিম মিডল্যান্ডের ওয়ালসাল রেজিস্ট্রী অফিসে। এক্সপ্রেস ও ষ্টার পত্রিকার এ খবর প্রভাবশালী ইন্টারনেট মিডিয়া ‘ইয়াহু’ আজ প্রকাশ করেছে।
এ দু’জন ২০১৫ সাল থেকে একে অপরকে চিনে এবং জানে এবং তারা একসাথে বসবাস করে আসছে। তারা দুনিয়াকে দেখাতে চায় যে মুসলমান হলেও সমকামি বিয়ে হতে পারে। তারা আশা করে তাদের এই আনুষ্ঠানিক বিয়ে দেখে অন্যান্য সমকামি যুবক বা যুবতি তাদের প্রিয়জনদের সাথে অনুরূপভাবে মিলিত হতে সাহস নিয়ে এগিয়ে আসবে। রগান বলেছে, সমকামি বিবাহে যারা এগিয়ে আসবে তারা অবশ্যই অন্যান্য সমকামিদের কাছ থেকে সহায়তা পাবে। লিখেছে গণমিডিয়া ‘ইয়াহু’।
জাহেদ ওই পত্রিকাদ্বয়কে বলেছে যে, সে মনে করছে তার মুসলমান বাংলাদেশী পরিবারগুলির কাছে সে একজন নিন্দনীয় মানুষ হিসেবে পরিচিতি পাবে এবং এর ফলে তাকে স্কুলে আবার লোককথা শুনতে হবে, মসজিদে সে যেতে পারবে না এবং তার সম্প্রদায়েরই অন্যান্য মুসলমানদের দ্বারা আক্রান্তও হতে পারে।
“জাহেদ আরো বলেছে, শত অপবাদেও আমি একাই খাড়া হয়ে থাকবো আমার আস্তার প্রতি- আমি ফুটবলের চেয়ে ফ্যাশন প্রদর্শনী ভালবাসি। আমি স্মরণে আসছে যেনো আমি আটকে গেছি।” “সবকিছুই স্কুলের উপর দিয়ে যাবে। মানুষ আমার উপর থুথু দেবে, তাদের আবর্জনার থলে আমার মাথায় ঢালবে, আমাকে শোয়র ডাকবে আর মুসলমানরা চিৎকার করে বলবে এগুলো হারাম কাজ- যা তিরষ্কারের ঘৃণ্যতম রাস্তা আমার ভাষায়।”
জাহেদ চৌধুরী আরো যা বলেছে তা’হলো- “আমি এভাবে করেছি, কারণ আমি দেখাতে চাই যে মানুষের এ নমুনার কোন আচরণে আমি পরোয়া করিনা। আমার বিয়ের দিন আমার পরিবারের লোকজন আসতে চায়নি, কারণ তারা এটি দেখতে চায় না। এগুলো তাদের জন্য খুবই অসম্মানজনক বলেই তারা ভাবে।” “আমি সকলকে বলতে চাই যে, এ ধরনের বিয়েতে কোন সমস্যা নয়, এটি ঠিকই আছে। আমরা এর মধ্য দিয়ে দুনিয়াকে বুঝাতে চাই যে আমরা একই সাথে সমকামি হয়েও মুসলমান হতেই পারি।” বৃটেনের সংসদে ২০১৩ সালে সমকামি বিয়ের আইন পাশ হবার পর ২০১৪ সাল থেকে এ নমুনার সমকামি বিয়ে হয়ে আসছে।