লণ্ডন।। মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের মত বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ এক সর্বগ্রাসী রূপ নিচ্ছে ধর্ষণ। অতি সম্প্রতি ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের কাটুয়া জেলার ধর্ষণ ঘটনা সারা ভারতব্যাপী রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপ নিতে চলেছে। মাত্র ৮ বছরের এক পাহাড়ী শিশুকন্যাকে ঘোড়া চড়ানোর সময় অপহরণ করা হয় এবং কাছাকাছি একটি মন্দিরে ৫দিন আটক করে রাখা হয়। ওখানে তাকে নেশাগ্রস্ত করে বহুজন মিলে ধর্ষণ করে বলে পুলিশ বলেছে। ফলে একপর্যায়ে মেয়েটি মারা যায়।
ভারতে সংগঠিত ওই অপরাধের সমকালেই আরেকটি ধর্ষণ ঘটনা ঘটেছে ভূটানে। ওখানে ধর্ষক হলেন একজন ‘এনেসথেশিয়া কারিগর’ বা ডাক্তার। ভূটানের জাতীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন ওই রোগীনী। সেখানেই তাকে ওই ‘এনাসথেশিয়া’র ডাক্তার ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের সময় অনুভুতিনাশক ঔষধ ব্যবহার করা হয়েছিল কি-না তা জানা যায়নি।
ভূটানের স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় এ ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেছে যে, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই যে ওই ‘অনুভুতিনাশক কারিগর’ শুধুমাত্র তার চাকুরীর বিশ্বস্ততা ভঙ্গ করেছেন এমন নয় বরং একটি অতি জঘন্য অপরাধের ভেতর দিয়ে নিয়োগনীতি ভঙ্গ করেছেন। এজন্য সরকার মানুষের অতীব জরুরী এই স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়োগ নীতিমালা কঠোরভাবে পালনের লক্ষ্যে বিহীত ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। আরও মন্ত্রনালয় প্রয়োজনীয় সকল আইনী ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেয়।