মুখ্যমন্ত্রী কালিকো পলের মৃত্যু
প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ অরুণাচল" />
  1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
মুখ্যমন্ত্রী কালিকো পলের মৃত্যুপ্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ অরুণাচল - মুক্তকথা
সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন

মুখ্যমন্ত্রী কালিকো পলের মৃত্যু
প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ অরুণাচল

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০১৬
  • ৬৩৪ পড়া হয়েছে
1470754884_Kalikho_Pul

কালিকো পল

লন্ডন, বুধবার ১০ আগস্ট: প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কালিকো পলের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে মঙ্গলবার অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল অরুণাচল প্রদেশ। সেই সঙ্গে বিজেপিকে নতুন উদ্যমে আক্রমণ করতে মাঠে নেমে পড়েছে কংগ্রেসও। অসমের প্রদেশ কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপির অগণতান্ত্রিক রাজনীতির বলি হলেন পল। এই অভিযোগ তুলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সামনে নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছে অসম কংগ্রেস। তবে কংগ্রেসের এই অভিযোগের পালটা প্রতিক্রিয়া দেওয়া থেকে নিজেদের দূরে রেখে পলের মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল থেকে শুরু করে একঝাঁক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। পৃথকভাবে পলের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। এই ঘটনাকে ঘিরে তীব্র বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে গোটা অরুণাচল ঘিরে। পরিস্থিতি সামলাতে অতিরিক্ত ৫০০ আধা সামরিক বাহিনী সেখানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।
অবশ্য অরুণাচল প্রদেশ সরকার আজ, কালিকো পল এর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ৩দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছেন। সাথে সাথে মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের জন্য “মেজিস্টেরিয়েল” তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মূখ্যমন্ত্রী পেমা খান্দু।

৯ই আগষ্ট সকালে নিজের ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলন্ত পলের দেহ উদ্ধার হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন পলের মৃত্যু হয়েছে সকাল সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে। পল নিজেই আত্মহত্যা করেন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। কিন্তু পুলিশের এই তত্ত্ব মানতে চাননি পলের অনুগামীরা। তাঁরা মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবিতে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুর বাংলো ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সময় যত গড়িয়েছে বিক্ষোভের চেহারাও তত ফুলে ফেঁপে উঠেছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পলের অনুগামীরা এসে সেই বিক্ষোভে শামিল হন। পলের মরদেহ মুখ্যমন্ত্রীর বাংলোর সামনে রেখে তদন্তের দাবিতে অনড় থাকেন তাঁরা। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে অরুণাচলের উপ-মুখ্যমন্ত্রী চোয়ানা মেনের সরকারি বাসভবনেও। সেখান থেকে ১০০ মিটার দূরে তাঁর নির্মীয়মাণ বাংলোতেও হামলা চালান পল অনুগামীদের একাংশ। ওই বাংলোর একটি দেওয়াল ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর চালানো হয় কমপক্ষে ১০টি গাড়িতে। বিক্ষোভকারীদের হাত থেকে রেহাই মেলেনি পুলিশেরও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেলও ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। তাতে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখম হন বলে খবর। বিক্ষোভ আছড়ে পড়ে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রীর বাংলোতেও। সেখানেও ভাঙচুর চালান পল অনুগামীরা। শেষে পলের প্রথমপক্ষের স্ত্রী বিক্ষোভকারীদের হিংসা না ছড়ানোর আবেদন করলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পলের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখতে বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকেও তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান। এরই পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, পলের মৃত্যুতে তিনদিনের শোক পালন করা হবে রাজ্যে। এই মর্মে প্রতিটি সরকারি দপ্তরে নির্দেশও পাঠানো হয়ে গিয়েছে।

পলের মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, পলের আকস্মিক মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি হল। তাঁদের সকলের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ট্যুইটারে লিখেছেন, অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে খুব অল্প সময় কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন পল। ওই সময়েই তিনি যা কাজ করেছেন, তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালও বলেছেন, পলের মৃত্যুতে অরুণাচলের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমরা একজন সৃজনশীল রাজনীতিককে হারালাম।

অরুণাচলের দলীয় মুখ্যমন্ত্রী নবাম টুকির সঙ্গে পলের ঝামেলা বাঁধে ২০১৫ সালের শেষ দিকে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেন তিনি। তাঁর সেই বিদ্রোহে যোগ দেন কংগ্রেসের ১৮ জন বিধায়ক। ৬০টি আসন বিশিষ্ট অরুণাচল বিধানসভায় নির্দলের দু’জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠনে তৎপর হন পল। ১১ জন বিধায়ক নিয়ে বাইরে থেকে পলকে সরকার গঠনে সমর্থন দেয় বিজেপি। চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি পল মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন। গত ১৩ জুলাই পর্যন্ত তিনি অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তিনি অপসারিত হয়। ফের কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে। মুখ্যমন্ত্রী হন পেমা খান্ডু।

অরুণাচলের এই রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির পিছেনে বিজেপি’কেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে অসম কংগ্রেস। এদিন বিরোধী দলনেতা দেবব্রত সাইকিয়া বলেছেন, অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কংগ্রেস উৎখাত করার যে রাজনীতি বিজেপি শুরু করেছে, তারই করুণ পরিণতি হল পলের মৃত্যু। সাধারণ মানুষ জানতে পারবেন পলের মৃত্যুর পিছনে সঠিক কারণ কী। অবিলম্বে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হোক। সেই সঙ্গে তাঁর আরও দাবি, রাজনীতিতে বিজেপির আগ্রাসী মনোভাব বন্ধ হোক।(ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ও বর্তমান থেকে পিটিআই এর খবর)

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT