মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। কালা পানি। পাহাড়ী ও প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর একটি ছোট্ট ভূখণ্ডের নাম। সৃষ্টিলোকের এমন চোখজুড়ানো ভূখণ্ডটির মালিকানায় রয়েছে পাহাড়ীকন্যা নেপাল। নেপালের উত্তর-পশ্চিম কোনের পাহাড়ী এ ভূখণ্ডটির সীমানা রয়েছে ভারত ও চীনাদের সাথে। ১৯৬২সালের ভারত-চীনা যুদ্ধের সময় কৌশলগত দিক থেকে দামী এ ভূখণ্ডটি ভারত দখলে নিয়েছিল এবং আজো নেপালের এ জমিটি ভারতের দখলে রয়েছে। ভারত এ ভূখণ্ডে একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে নিজেদের দখলে রেখেছে। কালাপানিকে ভারতীয় মানচিত্রে উত্তরখণ্ডের পিতরাগড় জেলার একটি অংশ হিসাবে দেখিয়ে আসছে ভারত এবং প্রশাসনিক কাজকর্মও ভারত নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।
অতি সম্প্রতি চীনারা কালাপানিকে চিহ্নিত করতে গিয়ে বুঝতে পেরেছে যে ভারত নেপালের সাথে কোনরূপ বোঝাপড়া ছাড়াই নেপালের এ ভূখণ্ডটি নিজেদের দখলে রেখেছে। এমনসব তথ্য দিয়ে কৌড়ায় লিখেছেন ইতিহাসবিদ মদন কে লিম্বু।
নেপালের নাওয়াল পারাশি জেলার ছোট্ট একটি গ্রাম সুশতা। নেপালিরা গ্রামটিকে ‘নারায়নি’ বলে ডাকে। ১৪৮৬০হেক্টর ভূমিবিশিষ্ট গন্ধক নামক নদী তীরবর্তী এ গ্রামটিও ভারত দখল করে নিয়েছে বলে নেপাল সম্প্রতি দাবী করেছে। অবশ্য ভারত এ দাবীর উত্তরে বলেছে “সুশতা” ভারতের পশ্চিম চাম্পারান জেলার একটি অংশ।
এ ধরনের আরো কিছু ভূমি যেমন কোমাওন-গাদওয়াল এবং দার্জিলিং ১৮শতকে স্থানীয় শাসকদের কাছ থেকে নেপাল জয় করে নিয়েছিল। সে সময় এ সমূহ এলাকা নেপালের ছিলনা। স্থানীয় শাসকগন এসব এলাকা শাসন করতেন। নেপাল যুদ্ধ করে তাদের কাছ থেকে নিয়ে নিয়েছিল। ওইসব দিনে, এমনকি আজো যুদ্ধের মাধ্যমে বিজীত এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে রাখা কোন অন্যায় বিষয় নয়। বরং এর ন্যায্যতা সকলেই স্বীকার করেন। এভাবেই সারা বিশ্বের সকল দেশসমূহ সৃষ্টি হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে।