লন্ডন: মঙ্গলবার, ৩রা মাঘ ১৪২৩।। বাবা রাজ কাপুরের রঙীন জীবন এবার প্রকাশ্যে আনলেন ছেলে ঋষি কাপুর। সিনেমার পাশাপাশি রাজ কাপুরের জীবনে মহিলাদের যাতায়াত নিয়ে বই লিখলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা ঋষি কাপুর। বলিউডের শো-ম্যান রাজ কাপুরকে নিয়ে লেখা বইটির নাম ‘খুল্লম খুল্লা: ঋষি কাপুর আনসেন্সর’। পিটিআই এর সূত্র দিয়ে বর্তমান এ খবর দিয়েছে।
বইটির প্রথম অধ্যায় শুরু হয়েছে প্রয়াত অভিনেত্রী নার্গিসের সঙ্গে রাজ কাপুরের অকথিত প্রেম নিয়ে। ঋষি কাপুর লিখেছেন, আমার বাবা ছিলেন ভালোবাসার মানুষ। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমার মা ছাড়া আরও বহু মহিলা তাঁর জীবনে এসেছিলেন। যাঁদের মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য ছিলেন, তাঁরই একাধিক বড় হিট ছবির নায়িকা। আগ (১৯৪৮), বরসাত (১৯৪৯) এবং আওয়ারা (১৯৫১)। এই ছবিগুলিতে রাজ কাপুরের নায়িকা ছিলেন নার্গিস। ঋষি কাপুরের দাবি, বাবার জীবনে নার্গিসের ভূমিকা ছিল সবথেকে বেশি। তিনি ছিলেন বাবার গার্লফ্রেন্ড। আর কে ফিল্মের ‘ইন-হাউস নায়িকা’ ছিলেন নার্গিস। তাঁর প্রতি ভালোবাসা চিরস্মরণীয় রাখতেই বাবা আর কে ফিল্মের বিখ্যাত লোগো বানিয়ে ছিলেন। যা আজও অমর হয়ে আছে।
নার্গিসের পাশাপাশি রাজ কাপুরের সঙ্গে আরও এক নায়িকার সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন ৬৪ বছরের ঋষি কাপুর। তিনি বৈজয়ন্তীমালা। ‘সঙ্গম’ ছবির সহ-নায়িকা বৈজয়ন্তীমালার সঙ্গে রাজ কাপুরের সম্পর্ক নিয়ে তাঁর পরিবারে ভাঙন দেখা দিয়েছিল। তিনি লিখেছেন, আগাম খবর পেয়ে আমার মা একটি মেরিন ড্রাইভের নটরাজ হোটেলে আমাকে নিয়ে হানা দিয়েছিলেন। সেই হোটেলের একটি ঘরে একসঙ্গে ছিলেন বৈজয়ন্তীমালা এবং বাবা রাজ কাপুর। দু’জনকে একসঙ্গে দেখার পর আমার মা সেদিনই ঘর ছাড়েন। হোটেল থেকেই তিনি আমাকে নিয়ে চিত্রকূট অ্যাপার্টমেন্টে ওঠেন। প্রায় দু’মাস আমরা সেই বাড়িতেই ছিলাম। বাড়িটি বাবা মায়ের নামে কিনেছিলেন। বাবা বারবার এসে ক্ষমা চেয়ে মাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু মা ক্ষমা করতে প্রস্তুত ছিলেন না। বৈজয়ন্তীমালা অধ্যায় সম্পূর্ণভাবে শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি বাড়ি ফিরতে প্রস্তুত ছিলেন না।
ঋষি কাপুরের এই বই নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ অভিনেত্রী বৈজয়ন্তীমালা। তিনি এটা সস্তার প্রচারের চেষ্টা বলে দাবি করেছেন। রাজ কাপুরের সঙ্গে সম্পর্কের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী লিখেছেন, ঋষি প্রচারের খিদে থেকেই এই ধরনের অপ্রাসঙ্গিক কথা বলছেন। পালটা ঋষি কাপুর বলেছেন, সত্যিটা অস্বীকার করার কোনও অধিকার বৈজয়ন্তীমালার নেই। যদি আজ বাবা বেঁচে থাকতেন, তাহলে কি তিনি অস্বীকার করার সাহস দেখাতে পারতেন? প্রশ্ন ঋষি কাপুরের। সিনেমা, প্রেমের পাশাপাশি রাজ কাপুরের আতিথেয়তা এবং মদের প্রতি ভালোবাসার বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন ছেলে ঋষি কাপুর।(বর্তমান থেকে)