লন্ডন: চুরি ও হাতসাফাই, হিংসামূলক অপকর্ম, সিঁদেল চুরি, ভিন্নজনের সম্পত্তির ক্ষতি, মাদক ব্যবহার, ডাকাতি, যৌন হয়রানী, ঠগ-ঠগামো এই ৮ নমুনার শাস্তিযোগ্য অপরাধমূলক অপকর্মগুলো দুনিয়ার সকল মানব সমাজেই কম-বেশী বিদ্যমান। অপরাধ হলেও, এগুলো দুনিয়ার কোন সমাজ ব্যবস্থাই সমূলে উৎপাটন করতে পেরেছে বলে কোথায়ও দেখিনি বা শুনিনি। সকল সমাজেই এই অপরাধগুলো হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে। মানুষের সমাজ সভ্যতার শুরু থেকেই এ অপরাধগুলো ছিল এবং আজো আছে এমনটি বললে মনে হয় অত্যুক্তি হবেনা। মক্কা থেকে ভেনিস সর্বত্রই এ অপরাধগুলো বিদ্যমান আছে। হয়তো কোথায়ও নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার ভেতরে আছে আবার অনেক দেশের সমাজে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিরাজ করছে।
লন্ডনের মেট্রোপলিটান পুলিশ তাদের ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত দেয়া অপরাধ চিত্রেও এ অপরাধগুলোর প্রবনতা লক্ষনীয়। তাদের দেয়া তথ্য ঘেটে দেখা যায় লন্ডন শহরে ৯ কিছিমের অপরাধ কম-বেশী সংঘটিত হয়ই! ২০১৭ সালের মে পর্যন্ত দেয়া তথ্য খুঁজে দেখা যায়, এই গেল মে মাস পর্যন্ত এসমূহ অপরাধের মাত্রা ছিল সবচেয়ে বেশী। ওই সময় পর্যন্ত লন্ডন শহরে সবকিছু মিলিয়ে ৮ লাখ ৫০ হাজার ৪৯১টি অপকর্ম সংগঠিত হয়েছে। যেখানে চুরি ও হাতসাফাইয়ের পরিমান ছিল ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৯৫০টি। হিংস্রতার পরিমান ছিল ২ লাখ ৫৯ হাজার ৯৮৬। রাতের চুরি হয়েছে ৭৫ হাজার ৮৩২টি, অপরাধমূলক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে ৭০ হাজার ৩৪৬টি, মাদকাপরাধ হয়েছে ৩৯ হাজার ৯৭৫টি; যৌণ অপরাধ হয়েছে ১৯ হাজার ৪৬৩টি, ঠগ-ঠগামো হয়েছে ১,৩৫০টি। এছাড়াও অন্যান্য উল্লেখযোগ্য অপরাধ বলে নথিভুক্ত করা হয়েছে ১৮ হাজার ০৩৩টি।
এই অপরাধ তালিকায় সবচেয়ে বেশী হয়েছে ওয়েষ্টমিনস্টার কাউন্সিলে আর সবচেয়ে কম হয়েছে ‘কিংস্টন আপন থেইমস’ নামক কাউন্সিলে। এ তালিকায় কেমডেনের অবস্থান ৩য় পর্যায়ের আরো কয়েকটি কাউন্সিলের সাথে রয়েছে। ওই সময় কেমডেনে মোট অপরাধের পরিমান ছিল ৩৪,৯৬৬টি। ইজলিংটনে ৩১, ৫৬২টি, ব্রেন্ট কাউন্সিলে ৩০, ৫৭৫টি, কেনসিংটন এন্ড চেলসি কাউন্সিলে ২২, ৪৪৩টি, লেমবেথ কাউন্সিলে ৩৭, ৯৫৭টি, সাউথ ওয়াক কাউন্সিলে ৩৫, ৬৮১টি, হেকনিতে ৩৩, ৫৮৩টি এবং টাওয়ার হ্যামলেটসে ৩৪, ১১৩টি অপরাধমূলক অঘটন ঘটেছে।