১০লাখ দর্শক পুর্ণ করলো রাজনগরের ছেলে মোর্শেদ’এর ‘ইউটিউব চ্যানেল’ |
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মুক্তকথা প্রতিবেদন।।এক মিলিয়ন দর্শকের মাইলফলক অর্জন করেছে মোর্শেদ হাসানের ইউটিউব চ্যানেল ‘টেক নো’। সিলেটি ইউটিউব ব্যবহারকারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম যিনি ইউটিউবে ১০ লাখ দর্শক অর্জন করেছেন৷ ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ‘টেক নো’ নামের এই চ্যানেলে ১ লাখ সাবসক্রাইবার পুর্ণ হলে সিলেট বিভাগে প্রথম সিলভার বাটন অর্জন করেছিলেন মোর্শেদ। তাছাড়া তাঁর নিজের নামে ‘মোর্শেদ হাসান’ ইউটিউব চ্যানেল থেকে ২০১৯ সালে আরেকটি সিলভার বাটন অর্জন করেন৷ তাঁর ‘টেক নো’ চ্যানেলে ১০ লাখ দর্শক পূর্ণ হওয়ায় চলতি মাসে তিনি ‘গোল্ডেন বাটন’ অর্জন করেছেন। এই ‘গোল্ডেন বাটন’ সিলেট বিভাগের ইউটিউব ব্যবহারকারীদের মধ্যে তিনিই প্রথম এমনটাই জানিয়েছেন মোর্শেদ। |
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার বালিগাঁও গ্রামের মোর্শেদ ২০১৩ সালে প্রথমে ইউটিউবে একটি খেলার(গেইমিং) চ্যানেল খোলেন। সেই থেকে শুরু। পরবর্তিতে তিনি ২০১৬ সালে শিশুদের উপযোগি বিষয় তৈরি করতে থাকেন। এতে ভালই সাড়া পান। পাশাপাশি ‘ইউটিউব’ থেকে আর্থিক আয় হতে থাকে৷ মোর্শেদ জানান, তাঁর এই সাফল্যের পেছনে দীর্ঘ দিনের পরিশ্রম যুক্ত। প্রথম দিকে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে৷ কৌশলজ্ঞান(টেকনোলজি) তেমন বুঝতেন না৷ ধীরেধীরে তিনি সব আয়ত্বে আনেন। এমন কি গ্রামে একসময় ‘ইন্টারনেট’ সুবিধা তেমন ভালো ছিল না৷ ২ জি নেটওয়ার্ক দিয়ে ‘ইউটিউব’ চালাতে হতো৷ সে জায়গা থেকে ‘ইউটিউব চ্যানেল’টি এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন৷
মোর্শেদের এই সাফল্য দেখে অনেক তরুণ উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন৷ ইউটিউব আয়ের এক আলাদা মাধ্যম হিসাবে অনেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ এ বিষয়ে মোর্শেদ জানান, ‘ইউটিউব’-এ ‘চ্যানেল’ খুললেই আয় হয়না। এ ক্ষেত্রে ভালো বিষয় তৈরি করতে হয় এবং লেগে থাকতে হয়। তবেই সাফল্য আসবে।
তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে গ্রামে বসবাস করেও সাফল্য পাওয়া যায় তাঁর উদাহরণ মোর্শেদ হাসান। তরুণ মোর্শেদ ভালো বিষয় তৈরি করে ‘ইউটিউব’ থেকে আয় করে যেমন সাফল্য পেয়েছেন তেমনি সিলেটের প্রথম ‘ইউটিউব’ ব্যবহারকারীর স্বীকৃতি হিসেবে ২টি ‘সিলবার বাটন’ ও ১ টি ‘গোল্ডেন বাটন’ অর্জন করেছেন।
১০লাখ দর্শক পাওয়া উপলক্ষে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে মোর্শেদ হাসান সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। সাথে উপস্থিত ছিলেন তার নিজ গ্রামের আব্দুল হান্নান, মহিদুর রহমান, আব্দুর রব, তুহিনুর রশিদ জুবায়ের।