1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
শীমে মোজাইক রোগের আক্রমণ, কৃষকের ক্ষতি ব্যাপক - মুক্তকথা
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন

শীমে মোজাইক রোগের আক্রমণ, কৃষকের ক্ষতি ব্যাপক

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৯
  • ৬৫০ পড়া হয়েছে

আশরাফ আলী।। শীমের গভীর সবুজ পাতায় হলুদ ছোপ ছোপ রং অনেকটা মোজাইকের মত হয়ে যায় পাতা। শীমের পাতার এমন ধরনের রংধরা নতুন কিছু নয়। সাধারণতঃ শীমের পাতায় এমন রং ধরে সে বহুকাল আগ থেকেই। কিন্তু অধুনা শীমপাতায় এ রং ধরাকে একটি রোগের লক্ষন বলে জানা গেছে। মৌলভীবাজারের জুড়ি উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এ রোগকে শীমপাতার ‘মোজাইক রোগ’ বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস। কৃষি অফিস থেকে আরো জানা যায়, সাধারণতঃ বাড়ন্ত পর্যায়ের শীমলতার কাণ্ডে ও পাতায় এ রোগের আক্রমণ হয়ে থাকে।
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে শীমে ভাইরাস জনিত এই মোজাইক রোগের আক্রমণ দেখা দিয়েছে ব্যাপক রূপে। ওই উপজেলার বাছিরপুরে এ রোগের প্রাদূর্ভাবে শীম গাছ মারা গেছে অনেক কৃষকের। ভাইরাসজনিত শীমের মোজাইক রোগের এমন আক্রমণের ফলে অনেক চাষী আর্থিকভাবে নিদারুণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।

এমন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের একজন ইসলাম উদ্দিন। প্রতি বছর রবিশস্য হিসেবে মাঠে শীম, বরবটি, শসা, করোলা, লাউ, টমেটোসহ বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষ করেন। বিশেষ করে শীতকালীন সবজি শীমের চাষ বেশী করেন তিনি। ফলনও ভালো হয়। কিন্তু এবছর মোজাইক রোগের আক্রমণে তার বেশীর ভাগ শীম গাছ মারা গেছে। কয়েকটি গাছে ফুল দিলেও ফুল মারা যায়।
তিনি জানান, গত বছর তার মাঠ থেকে প্রতিদিনে ১৫-২০ কেজি করে শীম, গাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু এবছর শীমের পাতা হলুদ হয়ে গাছগুলো ধীরে ধীরে মারা যাচ্ছে এবং কিছু গাছও মারা গেছে।

এরকম রোগে শীম নষ্ট হয়েছে হাফিজুর রহমান, আছাদ উদ্দিন ও সিরাজুল ইসলাম সহ আরো অনেকের।
কৃষি অফিস থেকে আরো জানা যায়, জুড়ী উপজেলার বাছিরপুর এলাকায় জরিপ করতে গিয়ে কয়েকটি রোগের লক্ষণ পেয়েছে কৃষি অফিস। তার মধ্যে শীমের পাতার হলুদ রোগ বা মোজাইক রোগ, শীম ও বরবটিতে জাবপোকা বা ছাইপোকা, পঁচা রোগ বা মড়ক, লাউ, কুমড়া ও মিষ্টি লাউয়ে মাছি পোকার আক্রমণ অন্যতম।
শীমের পাতার হলুদ রোগ বা মোজাইক রোগ দমনে ইমিটাফ(ইমিডাক্লোরোপ্রিড গ্রুপের) জাতীয় কীটনাশক, শীম ও বরবটিতে জাবপোকা বা ছাইপোকা দমনে টাফগর কীটনাশক, পঁচা রোগ বা মড়ক দমনে রিডোমিল গোল্ড কীটনাশক এবং লাউ, কুমড়া ও মিষ্টি লাউয়ে মাছি পোকা দমনে প্রতি ৫ শতাংশের জন্য সেক্স ফেরোমন ফাঁদ বা ফেরোমন ট্যাব ব্যবহার করলে এ রোগগুলো দমন সম্ভব বলে জানায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

জুড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের উপ সহকারি কর্মকর্তা পংকজ কান্তি বিশ্বাস বলেন, আমরা বাছিরপুর এলাকায় রোগগুলোর প্রাদূর্ভাব পেয়েছি। এ নিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে রোগ দমন করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। নিয়মিত কীটনাশক ব্যবহার করলে এ রোগ দমন করা সম্ভব।
মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী জানান, ভাইরাস জনিত মোজাইক রোগ শীমের মারাত্বক ক্ষতি করে। এ রোগ দমনে নিয়মিত কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। বাকী রোগগুলো দমনে পটাশ সার ব্যবহার করা যেতে পারে।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT