সৈয়দ ছায়েদ আহমদ, শ্রীমঙ্গল।। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সরকারের খাদ্য বন্ধব কর্মসুচির আওতায় ১০ টাকা মুল্যের চাল কালো বাজারে বিক্রয়ের অভিযোগে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রথমে মঙ্গলবার গভীর রাতে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নে হুদারপাহাড় এলাকা থেকে আশিক মিয়াকে গ্রেপ্তার এবং বুধবার দুপুরে ভৈরম বাজার থেকে ইসলাম মিয়া নামের অপর এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত দুজনেই কালাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
আটককৃত আশিক ওই ইউনিয়নের ভৈরববাজার সংলগ্ন হুদারপাহাড় গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই এলাকার দাদন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত এবং ইসলাম মিয়া মাজদিহী এলাকার বাসিন্দ্র।
এসময় পুলিশ দিনভর অভিযান চালিয়ে তাদের শিকারোক্তিতে পাচারকৃত ৫ বস্তা চাল স্থানীয় ভৈরববাজারের কলা ব্যবসসায়ী হেকিম খা,সিএনজি চালক শান্ত রঞ্জণ দাশ ও আটক আশিক মিয়ার বাসা থেকে উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে কলা ব্যবসায়ী হেকিম খা জানান,তিনি পুলিশের হাতে আটক আশিক মিয়ার কাছ থেকে মঙ্গলবার ১৫শ’ টাকায় দুই বস্তা চাল ত্রুয় করেন।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানায়, স্থানীয় আশিকের বাড়িতে ১০ টাকা কেজি সরকারি চাল মজুদ করে রাখা ছিল। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার সময় আশিকের বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আশিককে আটকের পর তাকে উদ্ধার এবং চালের বস্তা চুরি সংক্রান্ত বিষয়টি ধামাচাপা দেবার চেষ্টা চালায় একটি মহল। পরে গণমাধ্যমকর্মীরা বিষয়টি জেনে গেলে তাদের এমন উদ্দেশ্য ভেস্তে যায়।
এদিকে, তবে পুলিশের উপস্থিতি ও পুলিশের অভিযান হবে এমন তথ্য আগেভাগেই জানতে পেরে আশিকের সংশ্লিষ্টরা প্রায় দু ডজন চালের বস্তা সরিয়ে নেয়। আশিককে আটক করে থানায় নেয়ার পরপর চালগুলো সরিয়ে ফেলে। পরবর্তীতে ৫ বস্তা ১০ টাকার মূল্যের সরকারি চা পুলিশ উদ্ধার করতে পেয়েছে বলে শ্রীমঙ্গল পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
কালাপুরের এলাকাবাসী তুহিন চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি শুনে আমিও গিয়েছিলাম ভৈরববাজার। আসলে কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছে না। তারপরও যা জানতে পারলাম তা হলো, সিএনজি অটোরিক্সা করে ১০ টাকা দামের সরকারি ত্রাণের বাজারে নিয়ে যাবার সময় সিএনজি থেকে পড়ে যায়। তখন উৎসুক লোকজন সিএনজি চালককে জিজ্ঞেস করে জানতে পারে এগুলো কালাপুরের আশিক মিয়া এবং ইসলাম মিয়ার চাল।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেক বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের চাল অবৈধভাবে মজুদ রাখার অপরাধে ইতোমধ্যে আশিককে গ্রেপ্তার এবং ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এ সময় ৫ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করা হয় এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান।
জানাযায় বুধবার রাত প্রায় ১২টার দিকে ৩ জনকে আসামী করে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ ধারায় শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ১২।