“কেনাডিয়ান গুজ” শীতের কাপড় তৈরীর একটি কেনাডিয়ান কারখানা। বিভিন্ন ধরনের জেকেট, পারকাস, ভেস্ট, টুপি, হাতমুজা প্রভৃতি তৈরী করে থাকে। ১৯৫৭ সালে একজন পলিশ অভিবাসী এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেন।
ব্যবসা প্রসারের সাথে সাথে শুরু হয় কাঁচামালের জন্য পাশবিক নিষ্ঠুরতা। তাদের তৈরী বিশেষ বিশেষ পোষাকে কিছু কিছু প্রাণীর লোম ও চামড়া ব্যবহার করা হয়। বন্য সেই প্রাণীদের বিভিন্ন নমুনার যন্ত্রনাদায়ক ফাঁদ পেতে ধরতে হয় এবং কেনাডিয়ান গুজ টাকা খরচ করে এসব ফাঁদ দিয়ে প্রানী ধরে কাজে লাগায়।
প্রানী ধরার ঐসব ফাঁদের নির্মাণ কৌশল এতই নির্মম যন্ত্রনাদায়ক যে অল্প সময়ের মধ্যে এ সকল নির্মমতা “animal anti-cruelty activists” অর্থাৎ ‘পশুর প্রতি নির্মমতা বিরুধী’ কর্মীদের নজরে পড়ে।
কুকুর ও কুকুর জাতীয় কিছু প্রানীকূল কাপড় ব্যবসায়ী ওই “কেনাডিয়ান গুজ”এর নির্মমতায় উজাড় হয়ে যাবার পথ ধরে। একদিকে নিষ্ঠুর নির্মমতা অন্যদিকে পুরো একটি প্রজাতির প্রানীকূলকে উজাড় করে দেয়ার মত জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে গড়ে উঠে প্রতিবাদ।
তেমনি এক প্রতিবাদ ছিল আজ বৃহস্পতিবার ৮ই মার্চ সন্ধ্যা ৮টায়। লণ্ডন অক্সফোর্ড স্ট্রীটের “কেনাডিয়ান গুজ” বিক্রয় কেন্দ্রের সামনে বেনার হাতে দাড়ায় খুবই অল্পসংখ্যক কিছু প্রতিবাদী মানুষ। জীব জগতের সেরা জীব মানুষ হয়ে পশুর প্রতি এই নির্মমতার বিরুদ্ধে তাদের আওয়াজ ছিল- জানেন কি, ‘কেনাডা গুজ’ এর প্রতিটি কাপড়ের সেলাইয়ের ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে আছে পশুর প্রতি মানুষের নির্মম নিষ্ঠুরতার রক্তদাগ।
ঘন্টাখানেক ধরে এক দঙ্গল মানুষ অভিজাত অক্সফোর্ড স্ট্রীট এলাকার বিশাল সেই কারখানা ও বিক্রয়কেন্দ্রের সামনে দাড়িয়ে তারা আওয়াজে আওয়াজে “কেনাডিয়ান গুজ” কেন্দ্রের চারপাশের পরিবেশকে ভারী করে তোলে। আওয়াজের পাশাপাশি চলে গণস্বাক্ষর সংগ্রহের কাজ। বেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পথচারীরা স্বাক্ষর দিয়ে দিয়ে গেলেন।
প্রতিবাদকারীদের প্রত্যয় “কেনাডিয়ান গুজ” এ নিষ্ঠুরতা থেকে সরে না আসলে তারা তাদের প্রতিবাদী আন্দোলন চালিয়ে যাবেন মৃত্যুর আগ মূহুর্ত পর্যন্ত।