প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ।। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ৯নং ইসলামপুর ইউনিয়নের রাজকান্দি গ্রামের সিদ্দেক আলীর মেয়ে রুবিনা বেগম(২৩) এর বিয়ে হয় একই উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের হতদরিদ্র ইসলাম মিয়ার ছেলে ফুল মিয়ার সাথে। দিনমজুরী করে ফুল মিয়ার সংসার চলে। বিয়ের সাত মাস পর স্থানীয় আদম ব্যবসায়ী মোস্তফা কামালের মাধ্যমে এ বছরের ২৮ এপ্রিল সুখের আশায় পাড়ি জমায় সৌদি আরবে। অবশ্য মোস্তফা কামালকে কোন টাকা পয়সা দিতে হয়নি। পাসপোর্ট ভিসা, বিমানের টিকেট সবকিছুই তিনি করে দিয়েছেন। সেখানে গৃহকর্মীর কাজ করবে রুবিনা। এরকমই কথা ছিলো। যাওয়ার পাঁচ দিন পর মা বাবার কাছে ফোন দিয়ে সে বলেছে ভালো আছে, সমস্যা নেই। কিন্তু ১৫ দিন পর ফোন করে রুবিনা বলেছে সেখানে দালাল তাকে গৃহকর্মীর কাজ না দিয়ে বাইরে বিভিন্ন স্থানে অনৈতিক কাজে যেতে বাধ্য করছে। সে তাদের কথা না মানায় দালাল তাকে নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে।
রুবিনার বাবা সিদ্দেক আলী ও স্বামী ফুল মিয়া জানান, তারা বারবার মোস্তফা কামালের কাছে রুবিনার খবর নিতে গিয়েছেন। তিনি বলেছেন সে সৌদির জেলে আছে। পরে তাকে জেল থেকে মুক্ত করে আনা হবে বলে মোস্তফা কামাল জানান। তবে কোন এক মাধ্যমে জানা যায় বর্তমানে রুবিনা দাম্মামের হাপরবাতেন সদর থানায় রয়েছে। নির্যাতনে তার শারীরিক অবস্থাও খুব খারাপ। দেশে তার স্বামী, মা-বাবা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। মেয়েকে ফিরিয়ে আনতে তারা ব্যাকুল।
আদমব্যবসায়ী মোস্তফা কামালের কাছে তারা বারবার ধর্ণা দিলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে তাদেরকে বলেন, তোমরা আমার কি করবে? তার স্বামীকে বলেছেন, ২৫ হাজার টাকা খরচ দিলে রুবিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা যাবে। কিন্তু এখন আর খবর নেই। মেয়ের জন্য মা-বাবার আহাজারি থামছেই না। এ ব্যাপারে সৌদিআরবে বাংলাদেশী দুতাবাস ও প্রবাসী সুহৃদয় বাঙালীদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা। তবে আদমব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল জানান, রুবিনাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া করছি।
|