লন্ডন: সাত-সাতটি দেশ পেরিয়ে ২০ দিনে লন্ডন থেকে সরাসরি চিনে পৌঁছে গেল সেই পণ্যবাহী ট্রেন। ‘ইস্ট উইন্ড’। এই প্রথম। চিন থেকে মাদ্রিদের পর জন্ম হল বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘতম রেলপথেরও।
হুইস্কি, শিশুদের দুধ, ওষুধবিষুধ ও যন্ত্রপাতি নিয়ে লন্ডন থেকে ১২ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ওই পণ্যবাহী ট্রেনটি পৌঁছল পূর্ব চিনের ঝেজিয়াং প্রদেশের ইউ শহরে, গেল শনিবার। ট্রেনটি লন্ডন থেকে রওনা হয়েছিল গত ১০ এপ্রিল। লন্ডন থেকে চিনে পৌঁছতে পেরিয়ে এল সাতটি দেশ- ফ্রান্স, বেলজিয়াম, জার্মানি, পোল্যান্ড, বেলারুশ, রাশিয়া ও কাজাখস্তান। ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলির সঙ্গে যে নতুন ‘সিল্ক রুট’ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে বেজিং, লন্ডন ও ঝেজিয়াং প্রদেশের মধ্যে চালু হওয়া প্রথম পণ্যবাহী ট্রেনটি তার নতুন একটি রুট হয়ে রইল।
ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণে এর আগে পশ্চিম ইউরোপের ১৪টি শহরের সঙ্গে সরাসরি রেল-যোগাযোগ গড়ে তুলেছে চিন। এর আগে লন্ডন থেকে জাহাজে পণ্য যাওয়া-আসা করত। তাতে সময় লাগত আরও এক মাস বেশি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন রুটে লন্ডন থেকে চিনে ওই পণ্যবাহী ট্রেনটি ১৮দিনেই পৌঁছে যাবে, অদূর ভবিষ্যতে। তবে পণ্যবাহী জাহাজে ১০ থেকে ২০ হাজার কনটেনার যায়। আর ওই পণ্যবাহী ট্রেনটিতে পাঠানো হয়েছে সাকুল্যে ৮৮টি কনটেনার।
লন্ডন থেকে চিন, নতুন এই রেলপথটি দৈর্ঘ্যের নিরিখে টপকে গেল রাশিয়ার বিখ্যাত ট্রান্স-সাইবেরিয়ান রেলপথটিকেও। তবে ২০১৪ সালে চালু হওয়া চিন থেকে মাদ্রিদ রেলপথের চেয়ে তা দৈর্ঘ্যে এক হাজার কিলোমিটার পিছিয়ে আছে। -আনন্দবাজার