মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধীদের জের ধরে ইউপি সদস্যের হামলায় ভাতিজা গুরুতর আহত হয়েছেন। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ইউপি সদস্য লুৎফুর রহমানসহ ২জনকে আটক করেছে। বুধবার(২২ নভেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সুত্র জানিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সদস্য তুলাপুর গ্রামের আবলুছ মিয়ার ছেলে লুৎফুর রহমানের সাথে আপন ভাতিজা কামরুল ইসলাম ও তার ভাইদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি ভাতিজা তার মায়ের কাবিনে থাকা জমিতে হাল চাষ করতে গেলে লুৎফুর বাধা দেন এবং গালাগালি করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।
গত সোমবার(২০ নভেম্বর) রাত প্রায় ১০টায় কামরুল পাশের কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী খেয়াঘাট বাজারে গেলে ওই ঘটনার জেরে লুৎফুর তার উপর হামলা চালান। তাৎক্ষনিক বাজারের লোকজন ওই ইউপি সদস্যের হাত থেকে কামরুলকে রক্ষা করে একটি দোকানে নিয়ে আসেন।
পরবর্তীতে রাত ১০ টার দিকে ভাতিজা খেয়াঘাটস্থ ওই ইউপি সদস্যের দোকানের সম্মুখ দিয়ে গেলে আবার লুৎফুর ও তার লোকজন কামরুলের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে কামরুল গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষনিক আহত অবস্থায় তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে রাজনগর থানায় ওই ইউপি সদস্যকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয় । রাজনগর থানার পুলিশ মঙ্গলবার দিবাগত রাতেই লুৎফুরকে আটক করে। পুলিশি অভিযানের খবর পেয়ে অন্য আসামিরা পালিয়ে যায়।
এদিকে রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিনয় ভুষন রায় বুধবার রাতে বলেন, ইউপি সদস্য লুৎফুর সহ আরও ১ জনকে গ্রেফতার সঅ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মৌলভীবাজার চীফ জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে ৩ আসামীকে সাজা দিয়েছেন চীফ জুডিসিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন আদালতের চীফ জুডিসিয়াল মাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোঃ কায়সার মোশাররফ ইউছুফ।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের (জি আর ২০৬/১৫ ইং) একটি মারামারির মামলায় জেলার কুলাউড়া উপজেলার সাতবা গ্রামের ফারুক মিয়া থানায় অভিযোগ করেন। মামলায় আসামী করা হয় একই উপজেলার শফিক মিয়া,মোঃ চিনু মিয়া,মোঃ শাহাজান মিয়া ও মোঃ ইব্রাহীম মিয়া, শাহান মিয়া, সাবির হোসেন,মন্তর মিয়া, মোঃ মন্তর মিয়া,সাজিদ মিয়া,মোঃ ছিবত মিয়া, ছমেদ মিয়া, মোঃ কবীর মিয়া ও নানু মিয়াসহ মোট ১৫ জনকে। এর মধ্যে দুই আসামী ইতিমধ্যে মারা যান। চিনু মিয়া ও সফিক মিয়াকে জেল হাজতে পাঠান আদালত।
আসামীদের মধ্যে পলাতক রয়েছে শাহাজান মিয়া। তাকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড হয়েছে। এর মধ্যে জরিমানা দিয়ে খালাস পেয়েছেন মোঃ ইব্রাহীম মিয়া। আসামীদের দন্ডবিধি’র ৩২৪ ও ৩২৫ ধারায় সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে সর্বোচ্চ ২ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন আদালত।