1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
একজন নিবেদিতপ্রান প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং - মুক্তকথা
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন

একজন নিবেদিতপ্রান প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : রবিবার, ১৯ মে, ২০১৯
  • ৩৬৯ পড়া হয়েছে

মুক্তকথা সংবাদকক্ষ।। কেউ কি ভাবতে পারে কোন দেশের একজন প্রধানমন্ত্রীর দু’টি পেশা থাকতে পারে এবং তিনি সফলতার সাথে দু’টো কাজই চমৎকারভাবে সম্পন্ন করে যাচ্ছেন। এমন কাজের দু’টো দিকই থাকতে পারে। কেউ বলতে পারেন এমনটি সম্ভবই নয়। তবে এমন মানুষও আমাদের দৈন্যতায় ভরা এ বিশ্বে এখনও আছে। আমাদের এই ভূ-ভারতে যখন প্রতিটি শ্রেণী পেশায় চুরি-চামারি কিংবা তস্করবৃত্তি নিত্ত্বনৈমিত্তিক। খোলামেলাভাবেই নির্ভিক চিত্তে ঘরে-বাইরে, গাড়ীতে, ট্রেনে নারী ধর্ষণ হয়। কোন কারণ ছাড়াই আইনী বাহিনীর হাতে সাধারণ মানুষ মারা যায়। পুলিশ হেফাজতে আসামী মারা পড়ে। ধর্মের দোহাই দিয়ে জঙ্গিবাদীরা মানুষ হত্যা করে। ঠিক এমনই অমানবিক সংকটময় দুঃসময়ে আমাদেরই এক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের একজন রাষ্ট্রপ্রধান একই সাথে দু’টো পেশা খুবই দরদীমন নিয়ে সফলভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি একজন প্রধানমন্ত্রী আবার তিনি চিকিৎসকও। তাই সপ্তাহের শেষে তাঁকে পাওয়া যায় রোগীদের মাঝে, অপারেশন থিয়েটারে। এমনভাবেই লিখেছে আনন্দবাজার। আর তিনিই হলেন চিকিৎসক প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। তিনি ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর দায়ীত্ব পালনের পাশাপাশি নিত্ত্বনৈমিত্তিক ভাবে তিনি হাসপাতালে গিয়ে রোগী দেখেন, অপারেশন করেন। কারণ একটিই, ব্যক্তি জীবনে তিনি একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক। তার এমন পছন্দের পেশা, এমন নিখাদ ভালবাসার অবস্থানের সাথে সম্পর্কহীন হতে চান না। প্রধানমন্ত্রীর পরও সারা মনজুড়ে তিনি একজন মানবপ্রেমিক ডাক্তার।
কেন তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েও হাসপাতালে ছুটে যান? একটি সংবাদ সংস্থার এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেরিং জানান, চাপ কমাতে কেউ গল্ফ খেলেন, কেউ তিরন্দাজি করেন। কিন্তু তাঁর ভাল লাগার কাজ হল অপারেশন করা। আর তিনি আজীবন এই কাজটা করতে চান। এমনকি সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতে তিনি যখন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের দিকে যান, তাঁর মনে হয় যদি গাড়ি ঘুরিয়ে হাসপাতালে চলে আসতে পারতেন।
একটি সংবাদ সংস্থার সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, দেশ চালানো আর রোগীর চিকিৎসা প্রায় একই রকম। একজন ডাক্তার রোগীদেখে রোগ বুঝে তাকে ঔষধ দেন। ঠিক একই ভাবে তিনিও একজন ডাক্তারের মতই প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে দেশের রাজনীতির স্বাস্থ্য খতিয়ে দেখে তা ঠিক করার চেষ্টা করেন। তাই তিনি এখনও প্রতি বৃহস্পতিবার হাসপাতালে যান। সেখানে শিক্ষানবিশ ও নতুন চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেন, তাঁদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।
ভূটান সবসময়ই একটি শান্ত সুখী দেশ। একটি শক্তিশালী অর্থনীতি তাদের আছে। এমন অবস্থায় ডাক্তার প্রধানমন্ত্রী তাদের আরেকধাপ এগিয়ে দিয়েছেন।
হিমালয়ের এই পাহাড়ী কন্যা আশ-পাশের সকলের সাথে নিখাদ বন্ধুত্বের সম্পর্ক নিয়ে চলে আসছে শতাব্দিকাল ধরে। নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের সাথে ভূটানের সম্পর্ক একেবারে ভাই ভাইয়ের মত।
প্রধানমন্ত্রী শেরিং বাংলাদেশ, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ২০১৩ সালে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। গতবছর তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সূত্র: আনন্দবাজার

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT