1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
এ কি করে সম্ভব! উপরের দরজার এমন অপরাধ শক্তহাতে মোকাবেলার সময় এখনই - মুক্তকথা
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২১ পূর্বাহ্ন

এ কি করে সম্ভব! উপরের দরজার এমন অপরাধ শক্তহাতে মোকাবেলার সময় এখনই

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : সোমবার, ৮ জুন, ২০২০
  • ১৮৪৪ পড়া হয়েছে

মুক্তকথা প্রতিবেদন।। পুলিশ ও ইমিগ্রেশনপুলিশ আগে থেকেই জানতো তারা দেশের বাইরে যাচ্ছেন। অনেক কিছু জেনে-শুনেই তারা এদের আটকায়নি। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদুল আহসান ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান তারাতো শুধু জানতেন তা নয় মফিদুর রহমান নিজেই বলেছেন তিনি যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন। দূর্ণীতির দূর্গ কত বিস্তৃত ও শক্তিশালী তা বুঝা যায় যখন দেখা যায় থাইল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাস এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটিকে থাইল্যান্ডে অবতরণের অনুমতি দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে গত ২৩ মে সেখানকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি দেয়। সেই অনুমোদন পাওয়ার পর ওই দিনই ঢাকায় থাই দূতাবাসে একটি চিঠি দিয়ে দুইজনকে মেডিকেল ভিসা দেয়ার অনুরোধ করা হয়৷ পরের দিন ২৪ মে তাদের ভিসা দেয়া হয়৷ অথচ এই দুই মহারতি রন ও দিপু গত ৭ মে এক্সিম ব্যাংকের দু’জন পদস্ত কর্মকর্তাকে একটি অ্যাপার্টমেন্টে বন্দি রেখে তাদেরকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেন বলে ১৯মে গুলশান থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২৫ মে তারা দেশ ত্যাগ করেন৷ সব কিছু জানাজানিতে নয়কি?
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত ৩০ মে পর্যন্ত বাংলাদেশে যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ ছিল। এই অবস্থায় একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে করে দু’জন বাংলাদেশী যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যান বলে দেশের বিভন্ন সংবাদ মাধ্যম লিখেছে। এমন কঠোর বিধিনিষেধের সময় অঘটনঘটনপটিয়সী যারা দেশ ছাড়লেন তারা আর কেউ নন সকলের পরিচিত দেশের হাতেগোনা ব্যবসায়ীদের দু’জন বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান সোহেল এফ রহমান। এর আগে, বিএনপির সাবেক নেতা ও বিএনপি আমলের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোর্শেদ খান এবং তার স্ত্রী নাসরিন খান দেশ ছাড়েন।

গত বৃহস্পতিবার ২৮মে দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে দু’জন যাত্রী নিয়ে একটি চার্টার্ড ফ্লাইট লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে গেছে। এমন তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর ইংরেজী দৈনিক ষ্টার পত্রিকাকে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদুল আহসান। অবশ্য যাত্রীদের পরিচয় তিনি নিজে দেননি। বরং বিমানবন্দরের অভিবাসন(ইমিগ্রেশন) কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন সাংবাদিককে।
তারও প্রায় ৩দিন আগে গত ২৫ মে ঠিক একইভাবে সিকদার গ্রুপের এমডি রন হক সিকদার এবং তার ভাই দিপু হক সিকদার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ত্যাগ করে ব্যাংককে চলে গেছেন। এমন খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। গণমাধ্যম অবশ্য পালিয়ে গেছে এবং এরা দু’জন হত্যা-চেষ্টা মামলার দুই অভিযুক্ত আসামী বলে উল্লেখ করে  ঘটনাটিকে খবর আকারে প্রকাশ করে। সংবাদ ও গণমাধ্যম থেকে আরো জানা যায় যে ঋণের নামে ৫০০শ কোটী টাকা আত্মসাতের অপচেষ্টা করেন দু’ভাই সিকদার। তাদের অপচেষ্টার মধ্যে ছিল এক্সিম ব্যাঙ্কের দু’জন কর্মকর্তাকে গুলি করে মেরে ফেলার অপচেষ্টা!
এরপর বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, রন হক সিকদার আর দীপু হক সিকদারের নিজস্ব এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ব্যাংককে যাওয়ার খবর গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন৷ তবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা থাকার পরও তারা কিভাবে এই করোনার মধ্যে দেশ ছাড়লেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে কি নাই এটা দেখার কাজ তার নয়৷ একাজ পুলিশ ও ইমিগ্রেশনের৷ তারা চাইলে ব্যবস্থা নিতে পারতো৷ কারণ, তারা যে দেশের বাইরে যাবেন সব তথ্য পুলিশ ও ইমিগ্রেশনের কাছে আগেই দেয়া ছিল৷ তা’হলে এরা দেশের বাইরে গোপনেতো যায়নি, এরাই জেনে-শুনে তাদের যাবার রাস্তা পরিষ্কার করে যেতে দিয়েছেন।

যখন এয়ারপোর্টে পুলিশ, ইমিগ্রেশন, সিভিল এভিয়েশন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নজর এড়ানো অসম্ভব তখন এই করোনা পরিস্থিতিতে হত্যা-চেষ্টা মামলার দুই অভিযুক্ত কিভাবে দেশ ছাড়লেন বিষয়টি খুবই রহস্যপূর্ণ বলে একটি প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকা মন্তব্য করেছে। কিন্তু মূল বিষয়তো রহস্য নয়, বরং সব জানাজানিতেই হয়েছে। অতএব খবর তৈরীর জন্য খবর আরকি!
সবকিছুর হিসেব-নিকেশ করে খুবই সংগত কারণে আমাদের মনেও জানার ইচ্ছে জাগে কিভাবে তা সম্ভব হলো! অবশ্য কেউ যদি বলে সকল অঘটনঘটনপটিয়সী দেশে এসব কোন বিষয়ই নয়। তার পরেও আমাদের বলার আছে।
যেকোন মানব সমাজে কোন একটা দূষ্কর্ম ঘটতেই পারে। এ বিশ্বের কোন দেশ বা সমাজ দূষ্কর্ম সমূলে তুলে দিয়ে দেশকে স্বর্গ বানিয়ে দিয়েছেন এমন দাবী কেউই করতে পারবেন না। মন্দ ব্যবহার, খারাপ কাজ, নিন্দনীয় জীবনাচরণ কোন বিশেষ দেশে বা সমাজে লুকিয়ে লুকিয়ে চলতেই পারে। কিন্তু সেসব গোপন অন্যায় কাজকে প্রশ্রয় না দিয়ে বরং আইনের আওতায় আনার জন্য গোটা বিশ্বের সকল দেশেই কিছু বাহিনী সরকারগুলো পোষে রাখেন। ছোট্ট এই বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। বিগত ২০১৮-১৯ বাজেটে দেশের জননিরাপত্তা খাতে চতুর্থ কোয়ার্টার(এপ্রিল-মে-জুন) খরচ হয়েছে ৬৮২২, ৫১ হাজার কোটী টাকা। এমন বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয়ের পরও সরকারে কর্মরত মানুষজনের আশ্রয় প্রশ্রয় ও সহযোগীতায় অপরাধমূলক দেশত্যাগ গোটা জাতিকে কি সংবাদ দেয়? গভীর ও সুচিন্তিতভাবে দেখা এবং শক্তহাতে মোকাবেলার সময় এখনই।
হারুনূর রশীদ

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT