রাজনগর থানায় ডিবি’র মামলামৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার উত্তরভাগ ইউনিয়নে ৩ টি বালু ছড়া থেকে দীর্ঘ দিন থেকে অবৈধ পথে বালু উত্তোলন করে আসছিল স্থানীয় বালু খেকোরা। বিষয়টি নড়েচড়ে বসলে স্থানীয় প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বালু ছড়ায় অভিযান চালালে অদৃশ্য কারণে জড়িতদের আটক করা সম্ভব হয়নি। ইউনিয়নের ধামাইছড়া, কালামোয়া ও মারুয়াছড়া দীর্ঘ দিন যাবৎ বন্দোবস্তের আওতায় না আসায় এখানকার স্থানীয় প্রভাবশালীরা রাতের আধারে কোটি টাকার বালু উত্তোলন করে দোদারছে বিক্রি করে আসছে। সম্প্রতি ওই এলাকায় বালু তোলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষের ঘটনাও ঘটে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে গেল ১ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টায় ওই পাহাড়ি এলাকার মুকুটপুর গ্রামের কালামোয়া ছড়ায় বালু তুলা হচ্ছে এমন খবর পায় জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এক প্রেস রিলিজে ডিবি জানায়, সরেজমিনে গিয়ে তারা জানতে পারেন ওই এলাকার শাহ খালেদ আলী,বাবলু আহমদ,আব্দুর রহমান ও সেফুল মিয়া’র নের্তৃত্বে কালামোয়া ছড়া হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে এখানে একটি ট্রাকে বালু ভর্তি করা হচ্ছে। তাৎক্ষনিক পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রাক চালক মুটুকপুর গ্রামের জুনেদ মিয়াসহ আরো বেশ কয়েকজন পালিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক ওই ট্রাক নং-সিলেট-ড-১১-২১৮৫ যার আনুমানিক মূল্য ৮ লক্ষ টাকা ও সাদা রংয়ের একটি প্রাইভেট কার নং ঢাকা মেট্রো-খ-১২-৩৩২৬ যার মূল্য ৫ লক্ষ টাকাসহ মোট ১৩ লক্ষ ৫ হাজার ৫শ টাকা মূল্যের ওই দুই গাড়ি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় গেল ২ সেপ্টেম্বর ২০১০ সালের বালু মহাল ও মাঠি ব্যবস্থাপনা আইনের ১৫ (১) ধারায় জেলা গোয়েন্দা শাখার এএসআই (নিঃ) মোঃ রাজিব বাদী হয়ে রাজনগর থানায় একটি মামলা (নং-৪) দায়ের করেন। মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান নাঈম সোমবার জানান, উপরে উল্যেখিত অভিযুক্তরাই এ মামলার আসামী। তারা এখন জামিনে আছে। জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি মোহাম্মদ বদিউজ্জামান বলেন, লিজ বিহীন বালু তোলার দায়ে তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযান চালাই। এদিকে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় (রাজস্ব শাখা) এ প্রতিবেদককে জানায়, ওই ৩টি বালু ছড়া এখনো লিজের আওতায় যায়নি। |