ব্রুনো আরো বলেন-“আমার মতে, এ প্রানীটি আমাদের হতবুদ্ধী করার মত একটি প্রানী যা ক্রমবিকাশের এক বিষ্ময়কর উদাহরণ।” এ প্রানীটি এ পর্যন্ত পাওয়া ভূগর্ভস্ত কীটের সবচেয়ে বেশী পায়ের। এতোবেশী পা বিশিষ্ট কীট এর আগে আর পাওয়া যায়নি। কীট জগতে এরাই প্রথম প্রাণী যারা মাটিকে জয় করেছে।” “এ ছাড়াও এ কীটটি মাটির অনেক অনেক গভীরে বাস করাকে সয়ে নিয়েছে।”
ভার্জিনিয়া টেক-এর পতঙ্গ বিজ্ঞানী পল মারেক যিনি হলেন এই গবেষণার শীর্ষ গ্রন্থকার যা “জার্ণাল সায়েন্টিফিক রিপোর্ট”এ প্রকাশ হয়েছে, তিনি বলেন, যদিও মিলিপেড অর্থ হাজার পা, তবে ইতিপূর্বে কোন ভূগর্ভস্ত কীট আবিষ্কৃত হয়নি যার হাজার পা আছে।” “এই মিলিপিড যারা সেন্টিপিড, ইন্সেক্ট, ক্রাষ্টাসিন্সদের সাথে সম্পর্কযুক্ত, এরা আজ থেকে ৪০০ মিলিয়ন বছর আগে এ মর্তগভীরে জন্ম নিয়েছিল।”
বর্তমানে এ বিশ্ব ভূমণ্ডলে প্রায় ১৩হাজার প্রজাতি রয়েছে যারা এ বিশ্বজগতের ক্ষয়ে যাওয়া ছত্রাক ও উদ্ভিদ খেয়ে বেঁচে আছে।
এ সকল কীট বাস্তপদ্ধতি(ecosystem)তে একটি বহুমূল্যবান কাজ করে। এরা খেতে গিয়ে বস্তুকে ভেঙ্গে তার অবিচ্ছেদ্য অংশ যেমন কার্বন, নাইট্রোজেন ও সাধারণ চিনি এগুলোকে আলগা করে দেয়। সংবাদ সংগ্রহ-স্কাই নিউজ, অনুবাদ-হারুনূর রশীদ |