মুক্তকথা নিবন্ধ।। সন্তান হারানোর বেদনা মা-বাবা ছাড়া আর কে গভীরভাবে বুঝতে পারে। মা-বাবার সে বেদনা একমাত্র সন্তানহারা কোন মা-বাবা ছাড়া এ বিশ্বের আর কেউ কখনও বুঝতে পারবেনা কিংবা এর কোন ব্যাখ্যাও দিতে পারবেনা। সে রকমই এক বাবা ‘জারমেইন লক্ষীদাস’। তিনি পশ্চিম হ্যাম্পস্টীড, লণ্ডনের কিলবার্ণ এলাকায় বাস করেন। গত ১৩ই আগষ্ট রাস্তা পারাপারের সময় তার কন্যা দ্বাবিংশবছর বয়সী যুবতী ‘জেইড মুতুয়া’কে পুলিশের একটি গাড়ী জোড়ে ধাক্কা দেয়। সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। মারাত্মক আহত ‘জেইড’ ২দিন পর কেনসিংটনের একটি হাসপাতালে রাত অনুমান ১০টার দিকে মারা যান। নিহত ‘জেইড’ বড় হয়েছেন ‘কেনটিস টাউন’এর ‘লেইটন রোডে’ তার খালা অনিতা মুতুয়া এবং দাদী ‘গ্লেডওয়েল মুতুয়া’র কাছে থেকে যিনি গত ৩বছর আগে মারা গিয়েছেন।
তার বাবা ‘জারমেইন লক্ষীদাস’ মেয়ের এমন মর্মান্তিক অকাল মৃত্যুকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। তার ভাষায় তার সে বেদনা কাউকে ভাষা দিয়ে উপলব্দি করানো যাবে না। এটি শুধুই দুঃখজনক নয়, এ আমার জন্য এমন এক মর্মান্তিক বিষাদময় দূর্ঘটনা, যা আমাকে বেদনার সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে। আমার এ বেদনা কোনদিন প্রশমিত হবে না।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম “কেমডেন নিউ জার্ণাল” খুব আবেগ দিয়ে এ নিয়ে লিখেছে। এই সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা যায়, ‘জারমেইন লক্ষীদাস’ কিলবার্ণ এলাকায় বাস করেন। মানুষ তার কাছে মেয়ের মৃত্যুর জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। কন্যা বিরহে বেদনাবিধুর পিতা লক্ষীদাস বলেন, “এই দুঃখ প্রকাশে আমার কলিজার টুকরো কন্যা জেইডকে তো আর ফিরে পাবো না। আমাদের জানতে হবে ওই সময় কি ঘটেছিল। আমরা এ ঘটনার কিছুই জানি না। এ মূহুর্তে এর কোন তথ্যই নেই।”
সংবাদ মাধ্যমকে পিতা লক্ষীদাস আরো বলেন, দূর্ঘটনা সংগঠিত হওয়া ওই রাস্তাটি খুবই বিপদ্জনক একটি রাস্তা। অবস্থায় মনে হবে এটি একটি মটরওয়ে। আমি জানি আমার মেয়েকে আর ফিরে পাবো না। কিন্তু কি করে আমার মেয়েকে ভুলবো। তাই তার স্মরণে এবং এসমূহ বিষয়ে সহায়তার জন্য তিনি একটি চ্যারিটি সংগঠন স্থাপন করার নিশ্চয়তার কথা জানান। তিনি আরো বলেন, এমন অবস্থায় কি করতে হবে এনিয়ে কোন বই নেই। তাই আপনাদের আরো শক্ত হয়ে সরাসরি এর মোকাবেলা করতে হবে।
সংবাদ মাধ্যম থেকে অবশ্য কিছুটা আশাব্যঞ্জক তথ্য পাওয়া গেছে যে, ‘The Independent Office for Police Conduct'(IPOC) থেকে একটি অনুসন্ধান মামলার কাজ শুরু করা হয়েছে। তারা দেখবেন দূর্ঘটনার সময় অবস্থা কেমন ছিল, কারা ছিল, কি ছিল, কোথায় ছিল ইত্যাদি বিষয়।
|