1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
জাল সনদে হয় ভর্তি! যুদ্ধাপরাধির হুমকিতে থাকে বাদি আর বজ্রপাত সহনীয় তাল গাছ হয় চুরি - মুক্তকথা
বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৫৮ অপরাহ্ন

জাল সনদে হয় ভর্তি! যুদ্ধাপরাধির হুমকিতে থাকে বাদি আর বজ্রপাত সহনীয় তাল গাছ হয় চুরি

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৬৭৩ পড়া হয়েছে

ছাতক থেকে লিখেছেন চানমিয়া।।  ছাতকে জাল সনদে ভর্তির অভিযোগে কামরাঙ্গি জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ৬জন শিক্ষার্থী ২৮নভেম্বর অনুষ্ঠিত বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারেনি। ফলে এদের ভবিষ্যত নিয়ে এখন সংশয় ও সন্দেহ দেখা দিয়েছে। অভিবাবক সূত্রে জানা যায়, পরিক্ষা বঞ্চিত শিক্ষার্থিরা বিভিন্ন মাদরাসায় লেখাপড়া করে আসছিল। ২০১৭সালের প্রথম দিকে অভিবাবকরা এদেরকে জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আব্দুল হালিমের কাছে নিয়ে এলে জনপ্রতি ১হাজার টাকা নিয়ে জাল সনদ সংগ্রহ করে ভর্তির সুযোগ করে দেন। পরে যথারীতি বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহনও অর্ধ-বার্ষিক পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করে তারা। কিন্তু হঠাৎ করে জাল সনদে ভর্তির অভিযোগে গত ২৮নভেম্বর অনুষ্ঠিত বার্ষিক পরিক্ষায় ৬জনকে অংশ গ্রহন করতে দেয়া হয়নি। এরা হচ্ছে, উপজেলার জাউয়া ইউনিয়নের কপলা গ্রামের আরশ আলী পুত্র রফিক মিয়া, আব্দুর রহমানের পুত্র নাঈম আহমদ, নলুয়া গ্রামের নুর মিয়ার পুত্র খালেদ আহমদ, কামরাঙ্গিচর গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে ফাহিমা বেগম, আবু মুসার মেয়ে তানজিনা বেগম (৭ম)সহ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ৬জন।
প্রধান শিক্ষক আব্দুল কাদির খোকা জানান, জাল সনদে ৬ষ্ট শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ায় তাদের বিদ্যালয়ে ভর্তি বাতিল করা হয়েছে। সহকারি শিক্ষক আব্দুল হালিম জানান, সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাড়পত্রের মাধ্যমে তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারি ফয়সল আহমদ। ওই ৬জন শিক্ষার্থীর ভর্তি সংক্রান্ত কাগজ দেখতে চাইলে অফিস সহকারি ফয়সল আহমদ জানান আলমিরার চাবি তার বাড়িতে রয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জাল সনদে ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কারা জাল সনদ সরবরাহ করেছে এবিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছেন।

১২ যুদ্ধাপরাধির হুমকিতে বাদি, পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায়

ছাতকে ১২জনের উপর যুদ্ধাপরাধ মামলা করায় চরম বিপাকে পড়েছেন বাদি। ৫অক্টোবর সুনামগঞ্জের আদালতে ১২জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন নোয়ারাই ইউপির রাজারগাঁও গ্রামের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা উস্তার আলীর পুত্র শহীদুল ইসলাম সরু। ১৯৭১সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাও সাধারন মানুষদের হত্যা, লুটপাট, ধর্ষন জ্বালাও-পোড়াওসহ নানা অপরাধের অভিযোগ এনে এমামলা দায়ের করা হয়। আসামিরা হচ্ছে, নোয়ারাই ইউপির আছদনগর গ্রামের মৃত মফিজ আলীর পুত্র আজিজুর রহমান ও সাদক আলী, মৃত ওয়াজিদ আলীর পুত্র রমজান আলী, মৃত চান্দ আলীর পুত্র সিরাজ আলী, মৃত মন্তাজ আলীর পুত্র এতিম উল্লাহ, বেতুরা গ্রামের মৃত সিদ্দিক আলীর পুত্র খোয়াজ আলী, মৃত মুজেফর আলীর পুত্র মুসলিম আলী,  মৃত মাহমদ আলীর পুত্র ইছবর আলী, মির্জাপুর গ্রামের মৃত মছদ্দর আলীর পুত্র ইলিয়াছ আলী, মৃত রোছমত আলীর পুত্র ছুরত মিয়া, মৃত ইছাক আলীর পুত্র ছুরাব আলী ও মৃত হুশিয়ার আলীর পুত্র ওয়ারিছ আলী। এজাহারে বলা হয়, ১৯৭১সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিরা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে স্বক্রিয়ভাবে সহায়তা করে হত্যাকান্ডসহ এলাকার বহু নিরীহ মানুষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বসতঘরে লুটপাট, গবাদি পশু লুট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এছাড়াও তারা যুবতীদের সম্ভ্রমহানি, ধর্ষণ ও খুন করে লাশ গুম করেছে। ১৯৭১সালের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি (বাংলা ১০ আশ্বিন) বেতুরা গ্রামের কুখ্যাত রাজাকার শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান মতচ্ছির আলী ওরফে ফকির চেয়ারম্যানের বাড়িতে গোপনে বৈঠক করে আসামিরা সরাসরি স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নোয়ারাই ইউপির বিভিন্ন গ্রামে নৃসংসতা ও হত্যাযজ্ঞ চালায়।
এসময় মুক্তিযোদ্ধা সূরোজ আলী, মুক্তিযোদ্ধা আয়াত উলাহ, জোড়াপানি গ্রামের নুরুল ইসলাম, গোদাবাড়ি গ্রামের সোনাবান বিবি, মুক্তিযোদ্ধা আজব আলী ও বাদির পক্ষের একাধিক ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে মূল্যবান জিনিসপত্র, নগদ অর্থ ও গবাদিপশু লুঠে রাজাকাররা ক্যাম্পে নিয়ে যায়। বাংলা ২২আশ্বিন মুক্তিযোদ্ধা উস্তার আলীর বাড়ি থেকে জোড়াপানি গ্রামের আব্দুস ছামাদকে হাত-পাও চোখ বেঁধে বেতুরা গ্রামের সুরমা নদীর পারে লঞ্চঘাটে নিয়ে এরা নির্মমভাবে হত্যা করে। একই স্থানে রাজারগাঁও গ্রামের হাজি ফুলজান বিবি, গোদাবাড়ি গ্রামের সোনা উদ্দিনসহ অঞ্জাত আরো ৪/৫জনকে হত্যা করে। এসব ঘটনায় অবশেষে আদালতে শহীদুল ইসলাম ২০১০সালের ২২জুলাই সিলেটের ডিআইজি বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। শহীদ হাজী ফুলজান বিবির পুত্র মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস শহিদ ২০১০সালের ২৪ফেব্রুয়ারি সুনামগঞ্জ আদালতে পৃথক একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিদের মামলা তুলে নেয়ার অব্যাহত হুমকি ও প্রাণ নাশের ভয়ভীতিতে বাদি পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।


বজ্রপাত সহনীয় তাল গাছ চুরি

ছাতকে বজ্রপাত থেকে রক্ষার জন্যে সরকারের প্রকল্পে রূপনকরা গাছ চুরি ও ক্ষতিসাধন করেছে একটি অসাধুচক্র। উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের মর্যাদ গ্রামে এঘটনা ঘটে। জানা যায়, মর্যাদ-পূর্বপাড়া ও মর্যাদ-রামপুর রাস্তার দু’পাশে সরকারের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বৃক্ষরূপন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। মর্যাদ গ্রামের মৃত সুরেশ সূত্রধরের পুত্র নিপেশ সূত্রধর গত ২৮নভেম্বর ৬টি রেইনট্রি গাছ ও ৩টি তাল গাছের চারা চুরি ও ক্ষতিগ্রস্থ করায় থানায় একটি সাধারণ ডাইরী (নং- ১৪৮১, তাং ২৮.১১.২০১৭ইং) দায়ের করেন। এসড়কে গত জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে রেইনটি ও তাল গাছ রোপন করা হয়। এতে উপকারভোগিরা গাছের নিরাপত্তা নিয়ে চরম সংশয়ে ভোগছেন।

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT