মৌলভীবাজারের বড়লেখার পাল্লাতল সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ আরও ৪৪ জনকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী(বিএসএফ)। বুধবার(১৪ মে) ভোরে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া হয়। এ সময় তাদের আটক করে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে স্থানীয়রা। আটককৃতরা বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি।
বুধবার ভোরে লাতু বিওপি ক্যাম্পের আওতাধীন শাহবাজপুর পাল্লাথল রাস্তার মোড় থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের শাহবাজপুর আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটকে রেখে বিজিবি জিজ্ঞাসাবাদ করছে। জানা গেছে, আটককৃত সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতে বসবাস করছিলেন। মঙ্গলবার(১৩মে) ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করলে আজ বাংলাদেশে তাদের ঢুকিয়ে দেয়া হয়। স্থানীয়রা তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।
এর আগে গত ৬ ও ৭ মে শতাধিক মানুষকে বাংলাদেশে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছিলো বিএসএফ। তবে ৫৯ জনকে আটক করে বিজিবি এবং তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর বড়লেখা থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে পুলিশ তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়।
পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়া ঠেকাতে বড়লেখা সীমান্তে এরইমধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে বিজিবি। কিন্তু বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে আবারও অবৈধভাবে ৪৪ জনকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ। এর আগে গত ৬ ও ৭ মে শতাধিক মানুষকে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। অবশ্য সে সময় ৫৯ জনকে আটক করেছিল বিজিবি। বিজিবি তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর বড়লেখা থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে পুলিশ তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়। আটককৃতদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ১৩ শিশু।
আটককৃতরা জানিয়েছেন, তারা কাজের জন্য অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে। সীমান্তের ওপারে আরও অনেককে আটক করে রেখেছে বিএসএফ। তাদেরও পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। উত্তর শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন আহমদ বলেন, আজ ভোরে আরও ৪৪ জনকে বিএসএফ বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। স্থানীয়ভাবে খবর পেয়ে বিজিবি তাদের আটক করেছে। আটককৃতরা বাংলাদেশি নাগরিক।
এ বিষয়ে বিজিবি-৫২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান বলেন, আটককৃতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা বাংলাদেশি।