1. muktokotha@gmail.com : Harunur Rashid : Harunur Rashid
  2. isaque@hotmail.co.uk : Harun :
  3. harunurrashid@hotmail.com : Muktokotha :
পা দিয়ে লিখেই তাকে পরীক্ষা দিতে হয়! অসাধারণ নিষ্ঠা ও মেধার প্রকাশ ঘটিয়ে পাশও করেছে - মুক্তকথা
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
জামাতের ইফতার, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস প্রচার, ভিজিএফ’এর চাল ও হরিণাকান্দি বিএনপি ইফতার শাপলা চত্বরে গণহত্যা মামলায় হাসিনাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি মণিপুরী ললিতকলায় যখন প্রশিক্ষণ শুরু তখন ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ ১৬বছরে পা দিয়েছে ১২৭ কর্মকর্তার সাথে আলাপে বসবেন প্রধান উপদেষ্টা গেলো সপ্তাহের বড়লেখা, কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আইএস বধু শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার গেলো সপ্তাহের শ্রীমঙ্গল, মৌলবীবাজার ও কমলগঞ্জ বিপজ্জনক অভিযোগ ! উৎসব বোনাস সকল চা-বাগানে প্রদান করা হচ্ছে না কতিপয় বন্ধু মিলে যখন ইফতার আয়োজন করে শ্রীমঙ্গল বিএনপি-ও সম্পন্ন করে ইফতার খাওয়ানো ধর্ষকশাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ॥ ‘বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে হবে’

পা দিয়ে লিখেই তাকে পরীক্ষা দিতে হয়! অসাধারণ নিষ্ঠা ও মেধার প্রকাশ ঘটিয়ে পাশও করেছে

সংবাদদাতা
  • প্রকাশকাল : শনিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৮
  • ১০৫৭ পড়া হয়েছে

খবরটি রংপুরের নিজপাড়া গ্রামের এক কঠোর পরিশ্রমী কিশোরীর। প্রতিবন্ধী স্কুল ছাত্রী পলী রাণীর ছোট্ট কাহিনী। জন্ম প্রতিবন্ধী পলী রাণীর দুই হাত ও পা অচল। হাত চলে না একেবারেই। মায়ের সহায়তায় অসীম সাহস আর মনোবল নিয়ে শুরু করেন পা দিয়ে লেখা। নিষ্ঠার অনুশীলন একসময় সফলতা নিয়ে আসে। পলী বুঝতে পারে সে পা দিয়ে লিখতে পারছে এবং এভাবে সে পড়া-লেখা করতে পারবে। একদিন মা-বাবাকে বলে স্কুলে যাওয়ার কথা। এর পর বাবা তাকে স্কুলে ভর্তি করে দেয়। পা দিয়ে লিখে সে প্রথম শ্রেণি থেকে ৪র্থ শ্রেণি পর্যন্ত সফলভাবে পাশ করে।
দরীদ্র শারীরিক প্রতিবন্ধী পলী রানী একমাত্র মায়ের সহায়তা ও  নিজের নিষ্ঠায় পা-দিয়ে লিখে এবছর পিইসিই পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করেছে। সে শারীরিক অক্ষমতাকে হার মানিয়ে রংপুরের গদাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিইসিই পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৪.৫৮ পেয়েছে।
প্রথম প্রথম অনেকে পলীর লেখাপড়া অসম্ভব বলেছিল। পলি সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে। তার বাড়ি নিজপাড়া গ্রামে। ২০১৪ সালে তার বাবা মনোরঞ্জন চন্দ্র সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। তার বাবা মনোরঞ্জন চন্দ্র ক্ষুদে কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন ও মা রুপালী রানী গৃহিণী। তাদের ৬ ভাই-বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। জানাযায়, স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা সবাই পলির সাথে ভাল আচরণ করতো।
পিতৃহীন পলীদের সংসারে শুধু শুধু অভাব নয় কঠোর দারীদ্র তাদের নিত্যসঙ্গী। পলির বড় ৩ ভাই লেখা-পড়া করে। তাদের খরচ মায়ের পক্ষে এখন চালানোই কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। কঠিন কঠোর দারীদ্রের রূপ তাদের সংসারে এমনই যে মা না খাইয়ে দিলে তাকে না খেয়েই থাকতে হয়।
পলীর ইচ্ছা, পরিবার ও সমাজের বোঝা না হয়ে সে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চায়। মাঝে মাঝে নিজের শারীরিক অক্ষমতায় তার মনে কষ্ট লাগে, কিন্তু স্কুলে গেলে সব ভুলে যেত। পলির মনের গভীরের কথা, সে পড়াশুনা করে দেশের জন্য কিছু করতে ও বাবার ইচ্ছা ও মায়ের মুখে হাসি ফুটাতে চায়।
ইচ্ছা থাকলে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। অসাধারণ নিষ্ঠা ও মেধার প্রকাশ ঘটিয়ে পিইসিই পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করে পলী রানী শুধুই যে তা প্রমাণ করেছে তা নয়, জাতীয়ভাবে সন্মানিত হবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তার স্বপ্ন পূরণে বাঁধা এখন দারীদ্রতা। একমাত্র সরকার এবং সমাজের বিত্তবানরাই পারে তার সে স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করতে। সূত্র: ইত্তেফাক

এ জাতীয় সংবাদ

তারকা বিনোদন ২ গীতাঞ্জলী মিশ্র

বাংলা দেশের পাখী

বাংগালী জীবন ও মূল ধারার সংস্কৃতি

আসছে কিছু দেখতে থাকুন

© All rights reserved © 2021 muktokotha
Customized BY KINE IT