সৈয়দ আব্দুল কাদির।। গত ৯ ডিসেম্বর এমসি কলেজের সাবেক প্রফেসর এরহাসুজজামান ও বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব কবি আবুল বশর আনসারীর মৃত্যুতে এক আলোচনাসভা ও দোয়ামাহফিল পূর্ব লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রিটিশ বাংলাদেশী হিস্ট্রি এন্ড হেরিটেজ কাউন্সিল ইউকে এ আয়োজন করে।
সভায়, সদ্যপ্রয়াত সিলেটের এই দুই কৃতি সন্তানের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর আব্দুল হাই, শিক্ষক সাংবাদিক সৈয়দ আব্দুল কাদির, সাংবাদিক বদরুজ্জামান বাবুল, শিক্ষক আশরাফ চৌধুরী, শিক্ষক মোঃ আব্দুল গনি, শিক্ষক গোলাম কাদির চৌধুরী, সাকিব জামান, কবি শাহ এনায়েত করিম, মোঃ গৌছ আলী খান, মোঃ নুর বক্স, মোঃ ওয়াহিদুর রহমান প্রমুখ।
মরহুম প্রফেসর এরহাসুজজামানের আপন ভাইপো যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাকিব জামান তাঁর চাচার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন তাঁর চাচা বিলাসবহুল জীবনযাপনের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি অত্যন্ত সাদাসিধে জীবন যাপন করতে পছন্দ করতেন। এতিম অসহায় একটা অন্ধ ছেলেকে তিনি আশ্রয় দিয়ে কোরআনে হাফেজ ও মিশকাত পর্যন্ত পড়ার সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছিলেন।
অন্যান্য বক্তারগণ বলেন, সিলেটি নাগরি গবেষণক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এমসি কলেজের সাবেক প্রফেসর এরহাসুজজামান একজন চির কুমার ছিলেন। পাশাপাশি হাজারেরও উপর শিক্ষার্থীর ছিলেন গর্বিত অভিভাবক। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত তিনি এমসি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। তাছাড়া তিনি কুমিল্লা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ময়মনসিংহের মুমিনুননেসা কলেজ এবং সুনামগঞ্জ ডিগ্রী কলেজেও তিনি শিক্ষকতা করেছেন।
নিজ হাতে নাগরী বর্ণমালা লিখে এবং তাঁর কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে বই প্রকাশ করে ছাত্র-শিক্ষক ও পরিচিতজনের হাতে তুলে দিতেন। নাগরী লিপি লালন ও চর্চায় আজীবন অবদান রাখার জন্য তাঁকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করে “উৎস প্রকাশন”।
বক্তাগণ মরহুম কবি আবুল বশর আনসারীর স্মৃতিচারণ করে বলেন, বনগাঁওর ‘বশর মিয়া’ খ্যাত কবি আবুল বশর আনসারী একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ব্রিটিশ বিরোধী ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। গত ২৭ নভেম্বর পূর্ব লন্ডনের হ্যাকনী হমারটন হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। উক্ত সভায় মরহুমদ্বয়ের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
ব্রিটিশ বাংলাদেশী হিস্ট্রি এন্ড হেরিটেজ কাউন্সিল ইউকে’র আহ্বায়ক কমিউনিটি নেতা সাংবাদিক কে এম আবুতাহের চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব সাংবাদিক খান জামাল নুরুল ইসলামের পরিচালনায় সভায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন শিক্ষক গোলাম কাদির চৌধুরী।