মনু-কুশিয়ারা উপত্যকার মানুষের দাবী-দাওয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আমাদের প্রধানমন্ত্রী, জাতির আশা-ভরসার সর্বোচ্চ স্তরের অন্যতম হিতাকাঙ্খী, জাতীয় উন্নয়নের পথপ্রদর্শক, জনদরদী দৃঢ়চিত্তের বিদুষী জননেত্রী দেশমাতৃকার গর্বিত কন্যা স্বনামে ধন্য জাতির জনকের তনয়া মহিয়সী নেত্রী শেখ হাসিনা সমীপে-
|
|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
হে জাতির কর্ণধার, শ্বাশত কাল ধরে মনু বাহিত জলধারায় আমরা যারা উজ্জীবিত, যে পলিল মাটির পড়তে পড়তে রয়েছে লক্ষ বছরের ইতিহাস, যেখান থেকে শুরু হয়েছে আমাদের জীবনের পথচলা, সেই দক্ষিণ সিলেট বা মলইবাজারের(পরবর্তীতে মৌলভীবাজার) আয়তন প্রায় ২৭৯৯ বর্গকিলোমিটার। আয়তনে খুব বিস্তৃত না হলেও আমাদের এ ভুমি প্রকৃতির অফুরান দানে ভরপুর। ক্ষুদ্র হলেও এ টুকুন মাটিই মহাপূণ্যময় আমাদের পবিত্র জন্মভূমি। মৌলভীবাজার জেলাকে চায়ের রাজধানী বলে অবিহিত করা হয়। তিনদিকে পাহাড় ও একদিকে উদার খোলা হাওরের সৌরভে মোহিত হয়ে এ এলাকার মানুষের ঘুম ভাঙ্গে। প্রকৃতির অফুরান সম্পদে ভরপুর অযুত-লক্ষ মানুষের বিভিন্নমুখী কর্মপ্রচেষ্টায় গড়ে উঠা আমাদের এ পবিত্র মাটির পরতে পরতে রয়েছে কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া স্বাধীনচেতা বহু মানুষের জীবন সংগ্রামের ইতিহাস। আমাদের পবিত্র এ মাটিতে পা রেখেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ বহু জ্ঞানীগুণিজন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে প্রায় ২৫লাখ মানুষের আবাসভূমি আমাদের মৌলভীবাজার তার ন্যায্য দাবীদাওয়ার খাতে খুবই অবহেলিত এক সংকটময় সময় কাটাচ্ছে। অর্ধ শতাব্দী সময় চলে গেছে আমাদের পবিত্র মাতৃভূমি স্বাধীনতা লাভ করেছে। দীর্ঘ এ সময়ে মৌলভীবাজার শুধু জেলার গৌরব অর্জন ছাড়া উল্লেখযোগ্য কোন উন্নয়নের স্বাদ পায়নি। উন্নয়নের কিছুই হয়নি এমন কথা আমরা বলছি না। তবে স্বাধীনতার পর যেসব উন্নয়নের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল তার বহু কিছুই যে এখনও হয়নি তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। |